পত্রিকা প্রতিনিধি : গত সোমবার থেকেই জেলায় সেরো-সার্ভিল্যান্সের মাধ্যমে র্যান্ডম অ্যান্টিবডি টেস্ট (Random Antibody Test) শুরু হল । পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য ভবন এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের যৌথ উদ্যোগে এই অ্যান্টিবডি টেস্ট হচ্ছে। গত ২১ শে জুলাই, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু হয়েছিল। সেদিনই, জেলা স্বাস্থ্য ভবনের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ নিমাই চন্দ্র মন্ডল, উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (১) ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তথা ভিআরডিএলের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ পার্থসারথি সতপথি জানিয়েছেন, জেলার প্রায় ৩০ টি ক্লাস্টার থেকে ৪৫০ জনকে নিয়ে এই র্যান্ডম অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে। সেইমতো, সোমবার (২৭ জুলাই) দাসপুর (১ ও ২) এবং চন্দ্রকোনার চিহ্নিত ক্লাস্টার গুলিতে, সেরো-সার্ভিল্যান্স পদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ ৬২ টি তথ্য সংগ্রহ এবং রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আজ (মঙ্গলবার) মেদিনীপুর শহরে এই প্রক্রিয়া চলছে। মেদিনীপুর পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ছাড়াও জনস্বাস্থ্য কারিগরি (PHE Dept.) দপ্তরের কর্মীদের নেতৃত্বে এই সেরো-সার্ভিলেন্স হচ্ছে। মেদিনীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সুভাষনগরের এক সরকারি আবাসন সহ ১৫ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে, এই র্যান্ডম অ্যান্টিবডি টেস্টের জন্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই পদ্ধতিতে সংক্রমিত (হটস্পট) এলাকা থেকে কিছু জনকে বেছে নিয়ে, গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য সংগ্রহ (প্রায় ৬২ টি) এবং রক্তের সিরাম সংগ্রহ করে, তা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ধারণা করা হয়, ওই এলাকাতে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত কতজন আছেন। আজ মেদিনীপুর শহরে যে স্বাস্থ্যকর্মীদের নেতৃত্বে এই প্রক্রিয়া চলছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কৃষ্ণা সতপথি বললেন, “সুভাষনগরের এই আবাসনের এক প্রৌঢ় সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি করোনা মুক্ত। কিন্তু, এই আবাসনের কেউ উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত কিনা, তা দেখার জন্যই এই এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সংক্রমিত আরেকটি এলাকা থেকেও এই তথ্য এবং রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। ইতিমধ্যে ১০ জনের সম্পন্ন হয়েছে। যাঁরা সংক্রমিত এলাকায় থাকেন এবং স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের নিয়েই এই পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমরা, এই তথ্যপূর্ণ তালিকা এবং রক্তের নমুনা মেদিনীপুর মেডিক্যালের ভিআরডিএলে পাঠিয়ে দেব, সেখানেই রক্তের সিরাম থেকে বাকি পরীক্ষা সম্পন্ন করবেন বিশেষজ্ঞরা।”
এ বিষয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু জানিয়েছেন, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা মেনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা’তেও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করা হবে। তিনি বললেন, “স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এই জেলার জন্য ৫০০ টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট পাঠানো হয়েছে। আমরা, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ছাড়াও খড়্গপুর, ঘাটাল সহ বিভিন্ন হাসপাতলে এই কিট গুলি ভাগ করে দেব। যে সমস্ত রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপসর্গ দেখা দেবে কিংবা কিছু উপসর্গ হীনদেরও চিহ্নিত করে এই টেস্ট করা হবে। “