পত্রিকা প্রতিনিধিঃ মাত্র কয়েকঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি। আর তাতেই শহরের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কঙ্কালসার চেহারাটা প্রকাশ্যে চলে এলো। বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় একঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি হয়। মুহুর্তেই চেনা শহরটা অচেনা হয়ে যায়। রাস্তার উপর দিয়ে নর্দমা উপচে জল তো বইছেই তাছাড়াও কোথাও কোথাও গৃহস্থের বাড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে। বেহাল নিকাশিব্যবস্থার জন্য জন বেরিয়ে যেতেও সময় লাগছে অনেক। শহরের প্রধান নালাতো বটেই, বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলিতে যে নালাগুলি রয়েছে সেখানে নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার হয়না বলে জোরালো অভিযোগ জানালেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মানুষজন। যার ফলে বৃষ্টির জল ড্রেনের জলের সঙ্গে মিশে রাস্তার উপর দিয়ে বইতে থাকে এবং গৃহস্থের ঘরে ঢুকে যায়। শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ নগরে সকালের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে যায়। রাস্তা জলের তলায় ঢুবে যাওয়ায় যাতায়াত করতে রীতিমতো সমস্যা পড়তে হয়েছে বাসিন্দাদের। ঐ এলাকার প্রায় ৩০টি বাড়িতে জল ঢুকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা অতনু দাস, বিট্টু ঘোড়াই, অর্নব রক্ষিতরা জল কাটিয়ে দিতে কাজে নেমে ছিলেন। একইরকম বেহাল চিত্র দেখা জ্যা শহরের ৮, ১৮, ২০ নম্বর ওয়ার্ডগুলিতেও।
শহরের প্রান্তে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ধর্মা এলাকায় রয়েছে হবিবপুর। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সড়কের পাশে থাকা জল নিকাশিগুলি সংস্কার করা হয়নি। মেদিনীপুর পুরবোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় কাউন্সিলররা হাত তুলে নিয়েছেন। ফলে ঐ সমস্ত নিকাশি ব্যবস্থাগুলি একেবারে বন্ধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, দীর্ঘ কয়েকবছর ধরেই নিকাশি নালাগুলি সংস্কার করা হয়নি। যার জেরে একেবারে জল নিকাশি বন্ধ রয়েছে। সেইজন্যই বৃষ্টির জল বন্যার রূপ নিয়েছে। হবিবিপুর এলাকায় ২০টির বেশি বাড়িতে জল থই থই অবস্থা দেখা যায়। বাড়িগুলিতে রান্না করার মতো পরিস্থিতি নেই। শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই কম বেশি নিকাশি সমস্যা রয়েছে। তাই বৃষ্টির জল রাস্তা দিয়ে বেয়ে ঘরবাড়িতে ঢুকেছে। এনিয়ে সদর মহকুমাশাসক তথা পুরপ্রশাসক দীননারায়ণ ঘোষ জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় নতুন নতুন ঘরবাড়ি হয়েছে। এজন্য নিকাশি সমস্যা রয়েছে তাই মাস্টার প্লান করে জল নিকাশির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।