পত্রিকা প্রতিনিধি: করোনা জেরে বন্ধ চন্দ্রকোনার ঐতিহ্যের রথযাত্রা,নিয়ম পালন হবে মন্দির চত্বরেই।চন্দ্রকোনার রথবন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার সাথে যুক্ত আরও দুটি জায়গায় রথযাত্রা বন্ধ হয়ে গেলো।প্রসঙ্গত,চন্দ্রকোনা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড নয়াগঞ্জ এলাকায় রয়েছে আনুমানিক সাত-আটশো বছরের পুরানো বড়অস্তল মন্দির।তৎকালীন বর্ধমান রাজার আমলে চন্দ্রকোনায় বহু দেবদেবীর মন্দির স্থাপিত হয় তার মধ্যে অন্যতম বড়অস্তলে রামানুজ সম্প্রদায়ের মন্দিরটি।জানাযায়,১৪৪০ খৃষ্টাব্দের আগে থেকেই রামানুজ সম্প্রদায়ের প্রথম মহারাজ স্বরুপ রামানুজ দাস আচারী বড়অস্তল স্থাপনা করেন।বিভিন্ন দেবদেবীর অষ্টধাতুর মুর্তি রয়েছে চন্দ্রকোনার নয়াগঞ্জ বড়অস্তলে।বড়অস্তলের ঝুলন ও রথ চন্দ্রকোনার ঐতিহ্যের বড় উৎসব হিসাবে পরিচিত,বহু মানুষের সমাগম হয়ে থাকে।আগামীকাল মঙ্গলবার চন্দ্রকোনার নয়াগঞ্জ বড়অস্তলের রথযাত্রা শুরু হওয়ার দিনক্ষণ থাকলেও করোনার জেরে এবছর বন্ধ রথযাত্রা।প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় এবছর মন্দিরেই সমস্ত নিয়মনীতি মেনে পূজো হবে বলে জানান অস্তলের বর্তমান ১১ তম পিড়ি মহারাজ সৌমেন রামানুজ দাস আচারী।প্রতিবছরই মহাধূমধাম করে বড়অস্তল থেকে পূজো হয়ে বহু মানুষের শোভাযাত্রা করে রথ টেনে নিয়ে যাওয়া হতো মাসির বাড়ি চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড ঠাকুরবাড়ি বাজার এলাকায়।এই ঠাকুরবাড়ি বাজারে ৭ দিন ধরে চলতো মেলা পূজো আর্চনা তারপর রথ পুনরায় শোভাযাত্রার মাধ্যমে ফিরে আসতো চন্দ্রকোনার বড়অস্তলে।এবছর করোনার জেরে থমকে চন্দ্রকোনার ঐতিহ্যের রথের চাকা।হবেনা শোভাযাত্রা করে রথ টানা থেকে মেলা কিছুই।রথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুখভার শহরবাসীর।চন্দ্রকোনার বড়অস্তলের সাথে সংযোগ আরও দুটি জায়গার,একটি চন্দ্রকোনার ঝাঁকরা এলাকায় অপরটি আনন্দপুর থানার খেতুয়া কালিপুরে।এই দুই জায়গার প্রভু থাকেন বড়অস্তলে রথের দিন এখান থেকেই ঝাঁকরা ও খেতুয়ার কালিপুর নিয়ে যান উদ্যোক্তারা রথ শেষে পুনরায় ফেরত দিয়ে যান প্রভুকে বড়অস্তলে।এবছর যেহেতু চন্দ্রকোনার বড়অস্তলের রথযাত্রা বন্ধ থাকছে তাই বাকি দুই জায়গাতেও বন্ধ থাকছে রথযাত্রা। মঙ্গলবার রথ তার আগের দিন সোমবার বড়অস্তলে দেখা গেলো আগের মতো ব্যস্ততা বা উৎসাহ উদ্দীপনা নেই।
করোনার আতঙ্কে বন্ধ চন্দ্রকোনার ৪০০ বছরের প্রাচীন রথযাত্রা
- Advertisement -