পত্রিকা প্রতিনিধি : হলদিয়া বন্দরের তিনটি বার্থে জাহাজ পণ্য ওঠানামা বন্ধ ছিল। ঠিকা সংস্থার প্রায় আটশত শ্রমিক কাজে যোগ না দেওয়ায় চার দিন ধরে হলদিয়া বন্দরের তিনটি বার্থে জাহাজ পণ্য ওঠানামা বন্ধ ছিল। ২,৪বি,৮ নম্বর বার্থে দাঁড়িয়ে রয়েছিল কয়লা,কোকিং কোল ও রক ফসফেট বোঝাই তিনটি বিদেশি জাহাজ ।
এই জাহাজগুলিতে ক্লিনিংয়ের কাজ না হওয়ায় জাহাজগুলি বন্দর থেকে ছাড়তে পারছে না। হ্যাচ ক্লিনিং না হওয়ায় তিনটি জাহাজে প্রায় আট হাজার টন কোটিং কোল, কয়লা ও রক ফসফেট পড়েছিল। বন্দরে ২,৪বি,৮ নম্বর বার্থে জাহাজের পণ্য ওঠানো-নামানোর দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থার উপর। সূত্রের খবর, সেই বেসরকারি সংস্থা শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার সংস্থা আভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য বন্দরের কাজ থমকে গিয়েছিল। আরো জানা যায়,বন্দরের সঙ্গে যুক্ত দুই ঠিকা শ্রমিক দের বেতন বহির্ভূত অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য শ্রমিকদের বেতন পি এফ ও ইএসআই নিয়ে সমস্যা চলছিল। দুই সংস্থার টালবাহানার জন্য বন্দরের কাজ থমকে গিয়েছিল শ্রমিকরা কাজ করতে নারাজ। অবশেষে দুই ঠিকাদারের আভ্যন্তরীণ সমস্যা মিটে গেল।
হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর বর্তমানে (ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম সদস্য) শেখ মজাফফর আলীর হস্তক্ষেপে বন্দরের পুনরায় কাজ শুরু হল গতকাল রাত থেকেই। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেন ইতিমধ্যে সকালেই বন্দরে আটকে থাকা তিনটি জাহাজ বেরিয়ে নতুন জাহাজ ঢুকেছে। দুই সংস্থা আভ্যন্তরীণ সমস্যা মিটে যাওয়ায় শ্রমিকরা খুবই খুশি। শ্রমিকরা কাজে যুক্ত হওয়াতে বন্দর কর্তৃপক্ষ খুব খুশি। ভারতীয় মজদুর সংঘ কলকাতা হলদিয়া পোর্ট সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিজলী বললেন হলদিয়া বন্দর অন্যান্য বন্দরে থেকে সম্মানজনক জায়গায় রয়েছেন। বন্দরের সঙ্গে যুক্ত দুই ঠিকাদার সংস্থা তাদের সমস্যা মিটিয়ে শ্রমিকরা কাজে যুক্ত হয়েছেন সেজন্য শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা দুই টিকাদার সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাই।