ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মেদিনীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পৌরসভায় বিক্ষোভ দেখালেন মেদিনীপুর পৌর এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। ওই ওয়ার্ডে থাকা একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে স্থানীয় কাউন্সিলর ছুটিতে থাকা কর্মীকে ফোনে ধমক দেয় বলে অভিযোগ। কাউন্সিলর “এক্তিয়ার বহির্ভূত” ভাবে ওই কর্মীর অনুপস্থিতির অপব্যাখ্যা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধানের কাছে হাজির হয়েছিলেন পৌর এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
তাদের দাবি, ঘটনায় রীতিমত অপমানিত হয়েছেন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। না হলে উচ্চস্তরে যেতে বাধ্য হবেন তারা। জানা গিয়েছে, সোমবার ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ভিজিট করেন শাসকদলের কাউন্সিলর সৌরভ বসু। সেই সময় শ্যামলী বিষই নামে ওই কর্মী অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁকে দেখতে না পেয়ে ফোন করেন। তারপরই ঘটনার সূত্রপাত। শ্যামলী বিষই বলেন, “আমি ১০ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি নিয়েছি নিয়মানুসারে। ছুটিতে থাকলেও কিছু দায়িত্ব থেকে যায়, যেমন ডিম বা সবজি পৌঁছানো।
সোমবার ছুটিতে থাকলেও সকাল ন’টা নাগাদ ডিম ও সবজি পৌঁছাতে যাচ্ছিলাম কেন্দ্রে। সেই সময় কাউন্সিলর ভিজিট করতে গিয়ে আমাকে দেখতে না পেয়ে ফোন করেন। তখন উনি বলেন ন’টা বাজে আপনি কেন্দ্রে আসেননি এখনো। আমি বলি আমার ছেলের পরীক্ষা চলছে, সুপারভাইজারকে জানিয়ে ছুটি নিয়েছি। তখন উনি বলেন ছুটি নিয়েছি শুধু সুপারভাইজারকে জানালেই হবে, আমাকে জানাতে হবে না। ওনার বক্তব্য ওনাকে না জানিয়ে ছুটি নেওয়াটা যেন আমার অপরাধ! কারণ আমাদের কোন নিয়ম নেই কাউন্সিলরকে জানিয়ে ছুটি নিতে হবে।
আমরা আমাদের নিয়মানুসারে দপ্তরের আধিকারিককে আবেদন করে ছুটি নিই। ওই ঘটনা উনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অপব্যাখ্যা করে পোস্ট করেছেন। এতে আমি অপমানিত। এখন আমি কাজ করব কিনা সেটাই ভাবনার বিষয়।” কাউন্সিলর সৌরভ বসু বলেন, “কয়েকদিন ধরেই এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণিরা সময়ে আসছেন না। সেই মতো আমি ভিজিটে গিয়েছিলাম। কিছুদিন আগে বিদ্যাসাগর হলে একটি বৈঠক হয় আইসিডিএস কর্মীদের নিয়ে আধিকারিকদের। বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল কাউন্সিলরদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।
ছুটি নিলে কাউন্সিলরকে জানাতে হবে। ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রে কাউন্সিলরের কোন ক্ষমতা নেই ঠিক। কিন্তু আমি জনপ্রতিনিধি আমি জানব না, আমার ওয়ার্ডে দিদিমণিরা ছুটি নিচ্ছে? মৌখিকভাবে হলেও তো আমাকে জানাতে হবে। এর আগে আমি নিজে জানিয়েছিলাম আপনারা ছুটি যেমন নেন নেবেন। কিন্তু অন্ততঃ একবার ফোন না হলেও মেসেজ করবেন যে আমি এত তারিখ থেকে এত তারিখ ছুটি নিচ্ছি। ফলে যখন এলাকার মানুষজন আমাকে প্রশ্ন করবে যে এই কেন্দ্রে দিদিমণি আসেননি, তখন আমি তাদের বলতে পারব যে উনি ছুটিতে আছেন।
আরও পড়ুন : মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় যানজট এড়াতে টোটোতে রং, অটো-টোটো সংঘর্ষ এড়াতে একাধিক পদক্ষেপ
কারণ জনগণের ভোটে আমি জিতেছি। তাদের প্রতি আমার একটা দায়বদ্ধতা আছে। গরিব বাচ্চাগুলো যখন পড়তে পারবে না, সময়ে খেতে পাবে না তখন তো আমাকেই প্রশ্ন করবে। আমার বক্তব্য সময়ে আসুন, সময়ে বাচ্চাদের পড়ানো থেকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রাখুন এবং সময়ের বাইরে যা খুশি করুন আমি কিছু বলতে যাব না।” পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের অন্তর্গত আরবান কর্মী ও সহায়িকাদের পক্ষে মার্জনা সেনগুপ্ত বলেন, কাউন্সিলর সৌরভ বসু সারপ্রাইজ ভিজিট করতে গিয়ে নানা কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
কিন্তু ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ছুটিতে ছিলেন। কাউন্সিলর নিজের প্রচারের জন্য এই কাজটা করেছেন। আমাদের কাছে এটা খুব নিন্দনীয়। উনি বিষয়টা আগে বুঝুক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কটা ছুটি পাওনা থাকে। উনি সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেছেন ছুটি নিতে হলে ওনাকে জানাতে হবে। এটা উনি সম্পূর্ণ ভুল কথা বলেছেন। কোন কাউন্সিলরকে বলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বা সহায়িকা ছুটি নিতে পারে না, তার জন্য তাদের নির্দিষ্ট দপ্তরে জানাতে হয়।”
আরও পড়ুন : শিশুকে মৃত বলে শংসাপত্র, সমাধি দিতে গিয়ে বেঁচে উঠলো শিশু! চরম গাফিলতি সরকারী হাসপাতালে
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে মৃত ব্যক্তির সাফল্য কামনায় প্রধানের শংসাপত্র! ভাইরাল সোশ্যাল মাধ্যমে
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore Municipality
– Biplabi Sabyasachi Largest