বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : সাংবাদিক বৈঠক করে বহিষ্কারের কথা জানালেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার।সুব্রত বক্সী কে টানা প্রশ্ন করার পর কার্যত সভাস্থল ছেড়ে চলে যান তিনি। এর পরেই বেবি কোলে কে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দলের হাই কমান্ডের।প্রসঙ্গত, খড়্গপুরে বৃদ্ধ বাম নেতাকে রাস্তায় ফেলে মেরেছিলেন তৃণমূল নেত্রী বেবী কোলে। বিষয়টি নজরে আসার পরই তৃণমূলে রাজ্য নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেয়। খড়্গপুর টাউন থানায় বেবির বিরুদ্ধে তৃণমূলই এফআইআর দায়ের করল। একইসঙ্গে দলবিরোধী কাজের জন্য শাসকদলের এই নেত্রীকে শোকজও করা হল। তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। যদি বেবি কোলের বক্তব্য, মহিলাদের বিরুদ্ধে অন্যায় হলে তিনি লড়াই করবেন।এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো। সেখানে দেখা গিয়েছে, স্থানীয় বামপন্থী নেতা অনিল দাসকে রাস্তায় বেধড়ক মারধর করছেন বেবি কোলে। তাঁর সঙ্গে আরও জনা তিনেক মহিলা রয়েছেন। এক মহিলাকে দেখা যায়, অনিল দাসকে জুতো দিয়ে মারছেন।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আশপাশে লোকজন জড়ো হয়ে গিয়েছেন।বিষয়টি নজরে আসার পরই তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব বেবির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেয়। এরপরই তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা বেবিকে শোকজ নোটিস পাঠান। শোকজ নোটিসে বলা হয়েছে, “আপনি প্রকাশ্য রাস্তায় যে অশালীন এবং অশোভনীয় কাজ করেছেন এবং নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে একজন বয়স্ক মানুষকে হেনস্থা করেছেন, তাতে দলের ভাবমূর্তি যথেষ্ট আঘাত পেয়েছে।” দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তিন দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে বেবিকে। দলের এই নেত্রীর বিরুদ্ধে তৃণমূলই যে খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে, শোকজ নোটিসে তাও জানিয়েছেন সুজয় হাজরা।৬ দিনের মাথায় দলকে জবাব পাঠালেন খড়্গপুরের তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে। সেখানে তিনি লিখেছেন, আত্মরক্ষার তাগিদেই তিনি সেদিন হাত চালিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে ওই বৃদ্ধ বারবার হস্তক্ষেপ করেছেন। তাঁর রোজকারের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। শোকজের জবাবে পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার কথাও তুলে ধরেছেন বেবি কোলে।
আরও পড়ুন : গড়বেতা আদালতে বিচারকের কোপে আদালতের এক কর্মী ! পূর্ণদিবস ধর্মঘটের ডাক

বেবি কোলের শোকজের জবাব নিয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ওই তৃণমূল নেত্রীর হাতে প্রহৃত অনিল দাস শোকজের জবাবের কথা শুনে বলেন, “গরিব মানুষের ঘর দখল করেন ওই মহিলা। সেই গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে আমি থানায় যাই। তাঁর আয়ের জায়গা তো এগুলোই।” বেবি কোলের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপের কথা শুনে হেসে ফেললেন বৃদ্ধ বামনেতা। বললেন, “আমি তো তাঁর স্বামীকে চিনিই না। দেখিনি। তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে কীভাবে হস্তক্ষেপ করব?” বেবি কোলেকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার না করায় উষ্মা প্রকাশ করলেন তিনি।

আরও পড়ুন : খড়গপুরে প্রকাশ্যে প্রবীণ নেতাকে চড় জুতো পেটা! ৬ দিনের মাথায় শোকজের জবাব দিলেন বেবী কোলে
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ইতিমধ্য়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন তিনি। নিরপেক্ষ বিচার চেয়ে তাঁর স্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন। এরপরই তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বেবিকে শোকজ নোটিশ পাঠান। প্রায় ছয় দিনের মাথায় নোটিশের জবাবও দেন তিনি। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বহিষ্কারের কথা জানালেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Trinamool expelled
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspape