Mamata
আরও পড়ুন ঃ–নন্দীগ্রামের মাটি থেকে হুঙ্কার ,‘৯০ শতাংশ ভোট পাব’ বললেন মমতা
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ দ্বিতীয় দফার ভোটে হাইভল্টেজ নন্দীগ্রামে বেলা বাড়তেই শুরু হয়েছে উত্তেজনা। এদিন সকাল থেকেই রেয়াপাড়ায় অস্থায়ী বাসভবনে থেকে নন্দীগ্রামের গোটা ভোট পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগের পাহাড় জমতে শুরু করে তার কাছে। তাই তিনি আর বসে না থেকে ১টা ২৫ নাগাদ রেয়াপাড়ার বাসভবন থেকে বেরিয়ে পড়েন। এরপর বেলা পৌনে দুটো নাগাদ বয়াল বুথে এসে পৌঁছন মমতা। এরপর বুথের বাইরে হুইলচেয়ারে বসেই নজরদারি চালাতে থাকেন তিনি।সামনে জমে থাকা ভিড় সরিয়ে লাইন পরিদর্শন করেন।

তবে সেই সময় ‘বহিরাগতরা ঢুকে ভোট দিতে দেয়নি, ছাপ্পা ভোট পড়ছে।’ বয়ালে ৭ নম্বর বুথের এই অভিযোগ ঘিরে ভোর থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল। নেত্রীকে সামনে থেকে দেখেই তখন উত্তেজিত হয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী, গ্রামবাসীরা। ভোট দিতে না পারার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তৃণমূলের অভিযোগ, বহিরাগতরা ঢুকে তাঁদের লাইন থেকে বার করে দেয়। ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ ঘিরে চরম উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। বাঁশ ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী, সিআরপিএফ জওয়ানরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দৃশ্যটা একটা সময়ে এমনই তৈরি হয়, মাঠের দু’প্রান্তে দাঁড়িয়ে যুযুধান প্রতিপক্ষ। তাঁদের গার্ড করে রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি কর্মীরা অবশ্য বহিরাগত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই গ্রামে কেউ এখানে বহিরাগত নন। তাঁরা যে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা, ওই বুথেরই ভোটার, তা দাবি করতে থাকেন বারবার। তৃণমূল কর্মীরাও অবশ্য ভোটার স্লিপ দেখিয়ে তা প্রমাণের চেষ্টা করেন। এই পরিস্থিতি ওই মাঠেরই এক প্রান্ত নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত মানববন্ধন করে নিরাপত্তা দিতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের।


পাশেই ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। নেত্রীর সামনেই সিআরপিএফের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। আর তাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আর এই পরিস্থিতিতে য়াল বুথ থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করেন তিনি বলেন, “ভোটের নামে নন্দীগ্রামে প্রহসন হয়েছে! মানুষ ভোট দিতে পারছেনা। ৮০ শতাংশ বুথে ছাপ্পা হয়েছে। আপনি কিছু করুন।” এরপর, প্রায় ২ ঘন্টা পরবিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে তাঁকে বের করে আনে। সেখানে পৌঁছন দায়িত্বপ্রাপ্ত আপিএস নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি ও তার কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপর তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার আনার চেষ্টা করেন। তবে সেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে দুপুর ১.৩০ নাগাদ থেকে ৩.৩০ নাগাদ অবধি বয়ালের বুথে একপ্রকার ‘বন্দী’ হয়ে পড়েন তিনি। তবে প্রায় ২ ঘণ্টা পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ওই বুথ থেকে বের করে আনা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Mamata
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore