বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: ভারতীয় সেনাবাহিনীদের শ্রদ্ধা জানাতে মেদিনীপুর শহরে বর্ণাঢ্য মিছিল করে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া, মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী, পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন মিছিল ঘিরে বিভাজন দেখা গেল তৃণমূলে। এদিন উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের মেদিনীপুর শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পান্ডব সহ একাধিক কাউন্সিলর। তবে জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা শালবনীতে ছিলেন একই রূপ কর্মসূচিতে। মেদিনীপুর শহরে জুন মালিয়া ও সুজয় হাজরার দ্বন্দ্বের জল্পনা ছিল। এদিন আবার নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। সূত্রের খবর, রবিবার মেদিনীপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে সেনা বাহিনীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন মিছিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : গরমে স্বস্তি পেতে দাওয়াই তালশাঁস! বাজারে চাহিদা তুঙ্গে
শহরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসে গত মঙ্গলবার পৌরসভায় ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কাউন্সিলর মৌ রায় মর্যাদা ফিরে পেতে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেবেন বলে জানান। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়েছেন, “পৌরপ্রধান অপমান করেছেন। আমি একজন জনপ্রতিনিধি। উনি সবার সামনে বলছেন আমার সঙ্গে কথা বলবেন না। বিষয়টি আমার কাছে ধর্ম সংকট তৈরি হয়েছে। এর বিচার চাইতে দিদিকে চিঠি দিব।” গত মঙ্গলবার মেদিনীপুর পৌরসভায় গিয়েছিলেন মৌ রায়, বিশ্বনাথ পাণ্ডব সহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর। তাদের বিরুদ্ধে পৌরসভায় ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে পৌরসভায় পৌঁছে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন পৌরপ্রধান সৌমেন খান ও কাউন্সিলর মৌ রায়। সেই সময় মৌ রায়ের উদ্দেশ্যে পৌরপ্রধানকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আপনার সঙ্গে আমি কথা বলব না। এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলব।” পাল্টা মৌ বলেছেন, “কেন বলবেন না? আমি জনগণের ভোটে জিতেছি।” শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে পরিশ্রুত পানীয় জল না পাওয়ায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল।
আরও পড়ুন : মেস থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

আরও পড়ুন : রক্তাক্ত শিক্ষকরা, প্রতিবাদ মেদিনীপুরে, ছাত্র ধর্মঘটে ডাক
বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার দারস্থ হোন কাউন্সিলর সহ বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী। সেই সময় ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ তোলেন খোদ পৌরপ্রধান। যদিও কাউন্সিলরের দাবি ছিল, “আমি ভাঙচুর করিনি। প্রমাণ করে দেখাতে পারলে আমাকে গ্রেফতার করা হোক।” শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, “পৌরপ্রধানের সময় নিয়েই পৌরসভায় গিয়েছিলাম জলের সমস্যা জানাতে। তাতে আমার দিকে অভিযোগ তুলছেন ভাঙচুরের।
আরও পড়ুন : পিংলায় মর্মান্তিক বাইক দূর্ঘটনায় মৃত এক ! আহত ২
আমি পরিষ্কার জানিয়েছি, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দেখালে আমি নিজে থানায় গিয়ে গ্রেফতার হব। পৌরপ্রধান বলেছেন আমার সঙ্গে কথা বলবেন না। কেন বলবেন না উনি? উনি আমার সঙ্গে কথা বলতে বাধ্য। কারণ উনিও জনপ্রতিনিধি, আমিও জনপ্রতিনিধি। আমাকে কেন হেনস্তা করা হবে? এর বিচার চাইবো দিদির কাছে। উনি পক্ষপাতিত্ব করছেন। আমি মর্যাদা ফিরে পেতে চাই। এটা আমার ধর্ম সংকট। একদিকে দল, একদিকে এলাকাবাসী, একদিকে নিজের মর্যাদা। আমি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে বিচার চাইছি।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Party Clash
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper