Illegal Tree Cutting : গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের দুই নম্বর কড়সা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অবৈধভাবে গাছ কাটার মামলায় অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ইব্রাহিম খানকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার। তিনি আরও জানিয়েছেন ধৃতকে আজ গড়বেতা আদালতে তোলা হবে।
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের দুই নম্বর কড়সা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অবৈধভাবে গাছ কাটার মামলায় অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ইব্রাহিম খানকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার। তিনি আরও জানিয়েছেন ধৃতকে আজ গড়বেতা আদালতে তোলা হবে। এখনও পর্যন্ত ওই মামলায় ৬ জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,পাশাপাশি তদন্তপ্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন : খড়্গপুরে জানালা ভেঙ্গে বাড়িতে ঢুকে গুলি চালাল প্রতিবেশী, গ্রেফতার ২
আরও পড়ুন : মেদিনীপুর শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে সরানো হবে মাংসের দোকানগুলি
প্রসঙ্গত”বিপ্লবী সব্যসাচী ডিজিটাল”এ বিস্তারিত ভাবে প্রথমেই খবর করা হয় গড়বেতায় নির্বিচারে বৃক্ষছেদনের। এবার সেই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, থানার আইসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, বনদফতরের অনুমতি না নিয়েই নির্বিচারে বৃক্ষছেদনের অভিযোগ উঠে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ৩ পঞ্চায়েত সমিতির কড়সা এলাকায়।
ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কংসাবতী ক্যানেলের পাশে ৪৫০০ ইউক্যালিপ্টাস গাছ রয়েছে। যা কড়সা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছিল। গত ২০০২ সালে প্রথমবার গাছ কাটা হয়। ২০২২-এ পুনরায় সেই গাছ কাটার প্রক্রিয়া শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত। সেইমতো বনদফতরের অনুমতি চান তারা। কংসাবতীর ক্যানেলের বাইরে থাকা ৪৫৯ এবং ৪৬০ এই দুটি দাগের মধ্যে থাকা ২৭০ টি গাছের অনুমতি দিয়েছে বন দফতর। বাকি গাছ কাটার অনুমতি দেয়নি।
আরও পড়ুন : নালা বন্ধ করে ব্যবসা করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি মেদিনীপুর পৌরসভার
তার বাইরে থাকা বাকি গাছগুলিও কেটে নিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ জমা পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলে। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তাও অনেক দেরিতে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। গত বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “পদক্ষেপ নিতে এত দেরি হবে কেন? সঙ্গে সঙ্গে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি?” তিনি বলেন, “দুর্নীতিতে কোনো রঙ দেখার দরকার নেই। যদি ঘটনা সত্য হয়, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন : বৈদ্যুতিক ফেন্সিংয়ের পর হাতির হানা রুখতে পশ্চিম মেদিনীপুরে কাটা হল পরিখা
কোনো বড় নেতাও যদি দুর্নীতি করে, ব্যবস্থা নিতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রী সরব হওয়ায় খুশি হন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭০ টি গাছ কাটার অনুমতি থাকলেও কেটে ফেলেছে ২০০০ গাছ। তারপর পুলিশ পদক্ষেপ নিতে বন্ধ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির কিছুদিন কাটতে না কাটতেই গ্রেফতার হলেন কড়সা গ্রাম পঞ্চায়ের প্রধান ইব্রাহিম খান। এই ঘটনায় আরো ৬ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Illegal Tree Cutting
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore