Madhyamik Result : মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাক লাগিয়ে দিয়েছে শালবনীর এক ছাত্রী। এবার তার স্বপ্ন বড় ডাক্তার হওয়া। সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য নেই। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের ছাত্রী শাশ্বতী ঘোষ ৬৫০ নম্বর পেয়ে সফল হয়েছে মাধ্যমিকে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকায় ক্ষতি হয়েছে পড়াশোনার। অনলাইনেও সেভাবে পড়া হয়নি। বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থাও খুবই খারাপ। সেভাবে টিউশন দিতে পারেনি। ছিল বিজ্ঞান আর ইংরেজির টিউশন। তাতেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাক লাগিয়ে দিয়েছে শালবনীর এক ছাত্রী। এবার তার স্বপ্ন বড় ডাক্তার হওয়া। সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য নেই।
আরও পড়ুন : দুয়ারে রেশনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুরে, গ্রেফতার রেশন ডিলার
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের ছাত্রী শাশ্বতী ঘোষ ৬৫০ নম্বর পেয়ে সফল হয়েছে মাধ্যমিকে। তার বাড়ি মৌপালের জাড়া গ্রামে। উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করার পর চিকিৎসক হওয়া তার লক্ষ্য। কিন্তু মেয়েকে পড়াবেন কীভাবে দুশ্চিন্তায় পরিবার। শাশ্বতীর বাবা তারাশঙ্কর ঘোষ গ্রামীন চিকিৎসক। মা দু-হাজার টাকা বেতনে স্থানীয় একটি নার্সারি স্কুলে পড়ান।
আরও পড়ুন : এবার মেদিনীপুরে মহিলা মহাবিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ ছাত্রীদের
Madhyamik Result
দাদা তবব্রত ঘোষ কেমিস্ট্রি অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করছে শালবনী গভর্মেন্ট কলেজে। শাশ্বতীর মাধ্যমিকে বিষয় ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর গণিত-১০০, জীবন বিজ্ঞান-৯৭, ভৌত বিজ্ঞান- ৯৫, বাংলা-৯৫, ইংরেজি-৯১, ভূগোলে-৯০, ইতিহাস-৮২। শাশ্বতী বলে, ‘স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। ধারাবাহিক ভাবে স্কুল হলে আরও কিছু নম্বর হয়তো বেশি পেতাম।’ তার ইচ্ছে চিকিৎসক হওয়া।
আরও পড়ুন : ‘বিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত উঠব না!’ পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় প্রেমিকা
দাদাও মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে ছিল। শাশ্বতী বলেন, ‘দাদা চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু সরকারি মেডিক্যালে সুযোগ হয়নি, বেসরকারিতে সুযোগ পেয়েছিল। পারিবারিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বাড়ি থেকে দাদাকে সেভাবে সাহায্য করতে পারেনি। এই সব কারণে আমার আরও বেশি জিদ হয়েছে চিকিৎসক হওয়ার।’
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে মেয়েদের মধ্যে প্রথম, শিক্ষিকা হতে চান শ্রেয়সী
তবে এই সামান্য রোজগারে ছেলে মেয়েদের কীভাবে পড়াবেন তা ভেবে উঠতে পারছে না পরিবার। মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক প্রসূন কুমার পড়িয়া বলেন, শাশ্বতী খুবই মেধাবী। একেবারে দরিদ্র সাধারণ পরিবারে জন্ম। পড়াশোনায় স্কুলের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সাহায্য করি। আরও কিছুটা নম্বর পাবে আশা করেছিলাম। ভবিষ্যতে আরও ভালো ফল করবে আশাকরি।’
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Madhyamik Result
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore