পত্রিকা প্রতিনিধি : করোনা আক্রান্তদের পরিষেবায় নিয়োজিত, করোনা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী সহ করোনা-যোদ্ধারা ফের আক্রান্ত হলেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একমাত্র লেভেল ফোর করোনা হাসপাতাল শালবনীতে। আজ সন্ধ্যায় জেলা স্বাস্থ্য ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী, শালবনী করোনা হাসপাতালের ৪ জন নার্স সহ মোট ৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী বা স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। ৪ জন নার্সেরই বাড়ি শালবনী এলাকায় বলে জানা যায়। বয়স ২৫ থেকে ২৯ এর মধ্যে এবং তাঁদের কারুরই বিশেষ উপসর্গ নেই বলে জানা গেছে। উপসর্গহীন আক্রান্ত, অন্য তিন কর্মীও। শালবনীর ধান্যশোলের এক যুবক (২৫) এবং মঙ্গলবাঁধি এলাকার এক যুবক (২৩) করোনা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। অপর এক ব্যক্তি (৪৫) ও এই হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী বলে জানা যায়, যিনি শালবনীরই বাসিন্দা।
উল্লেখ্য যে, এর আগে লেভেল ফোর করোনা হাসপাতালের দুই চিকিৎসক, ৩ নার্স এবং ২ জন স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত (সাফাই কর্মী) করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ৫ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি আক্রান্ত ২ জন এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন এবং তাঁরাও ভালো আছেন বলে জানা গেছে। জেলা স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের রুটিন চেকআপ করতে গিয়ে বা করোনা পরীক্ষা করতে গিয়েই সংক্রমণ ধরা পড়ছে। তবে, কারুরই বিশেষ উপসর্গ নেই এবং দ্রুত তাঁরা সেরে উঠছেন।
অপরদিকে,গত ২৮ শে জুলাই প্রকাশিত কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকাতে জেলায় কনটেইনমেন্ট জোন ছিল, ১২৯ টি। ঠিক এক সপ্তাহ পর (৪ আগস্ট), এই ধরনের ব্রড বেস কনটেইনমেন্ট বা সুবিস্তৃত গন্ডীবদ্ধ এলাকা বেড়ে হল ১৬১ টি।
এর মধ্যে, মেদিনীপুর পৌরসভাতে ১২ টি এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সদর ব্লকে আরো ৩ টি। শুধু খড়্গপুর পৌরসভাতেই ৪০ টি কনটেইনমেন্ট জোন।
এদিকে, জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল, এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, কনটেইনমেন্ট জোনে বন্ধ থাকবে, অফিস-আদালত সবকিছুই। সমস্ত রকমের জমায়েত এবং জরুরী পরিষেবা বিবর্জিত বিষয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। কেবল, হাসপাতাল, ওষুধ দোকান, চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়ের উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে।