
পত্রিকা প্রতিনিধি: ফের পজিটিভ দাঁতন ২ ব্লকে।গত ১ জুন দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরা এক যুবকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে আজ।এই নিয়ে চারজন আক্রান্ত দাঁতন ২ ব্লকে।দাঁতন ২ ব্লকের হরিপুর ৭ নং অঞ্চলের এক যুবক বাড়ি ফিরে ICDS কেন্দ্রে কোয়ারেন্টাইনে ছিল।গত ৫ জুন তার লালারস সংগ্রহ করার পর গত ৬ জুন পজিটিভ রিপোর্ট আসে।অপরদিকে শুক্রবার সকাল নাগাদ দাঁতন এক ব্লকে এক পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে করোনার সংক্রমণ ঘটে । গত ২৪ ঘণ্টায় দাঁতন এক ব্লকে দুজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে । অপরদিকে শুক্রবার সকাল নাগাদ নারায়ণগড়ে ১০ জনের কোভিদ রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জানা যায় মোহনপুরে শিশুকন্যাসহ মোট তিনজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মেলে । এরমধ্যে দেউলির একজন পরিযায়ী শ্রমিকের দেহে ও সংক্রমণ ঘটে বলে জানা যায় স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে । গ্রামবাসীরা জানান ওই পরিযায়ী শ্রমিক সম্প্রতি কিছুদিন আগে মুম্বাই থেকে ফিরে ছিলেন । আসার পরেই গ্রামের মাঠে তাকে রাখা হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে স্থানান্তরিত করে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তাঁকে রাখা হয় । বাড়ি ফেরার সময় ওই যুবকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে শুক্রবার সকাল নাগাদ ওই যুবকের রিপোর্ট পজিটিভ আসে । এছাড়াও স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ সরকারি স্বাস্থ্য দপ্তরের চরম উদাসীনতার জন্য ২০-২২ দিন পরে রিপোর্ট আসছে এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ঘটার আশঙ্কা প্রবল ।শুক্রবার (১২ জুন) বিশেষ সূত্রের খবর অনুসারে, ঘাটালে মোট ২১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ঘটে । এদের মধ্যে ঘাটাল পুরসভার ৪জন,ঘাটাল ব্লক এর ১১জন, দাসপুর ১ ব্লকের ৩ জন, দাসপুর ২ ব্লক এর ৪ জন । ঘাটাল থানার সূত্র অনুসারে শুক্রবার মোট ১৪ জনের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।আক্রান্তদের মধ্যে শীতল পুরের একজন ,ইড়াপালা পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর এর একজন ,রানীপুরের একজন,দেওয়ানচক ১ নং দুজন ,দেওয়ানচক ২ নং একজন,মোহনপুরের একজন, বীরসিংহের একজন ,অজবনগর ২ নম্বর একজন ,মনোহরপুর একজন , ঘাটাল পুরসভার ৪ জন রয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায় গত ২৫ মে লালা রস সংগ্রহ করা হলে শুক্রবার দুপুর নাগাদ এদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায় এদের পুনরায় লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে দ্বিতীয় বার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হবে । আক্রান্ত রোগীদের এখনো পর্যন্ত ঘাটাল কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে ।দ্বিতীয় বার করোনার ফল পজিটিভ এলেই মেদিনীপুর করোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানা যায় স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে ।
অন্যদিকে খেজুুুরীতে প্রথম করোনা পজিটিভ,আতঙ্ক এলাকায়।পুর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়লেও তালিকা থেকে এতদিন বাদ ছিল নন্দীগ্রামের পাশের বিধানসভা এলাকা খেজুরি।আর সেই খেজুুুরীতেই প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল শুক্রবার।
জানা গিয়েছে,খেজুুুরীর প্রথম করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেল খেজুরির বোগা গ্ৰামে।খেজুরি বোগার এক যুবকের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে।তাছাড়া ওই যুবক মুম্বই থেকে দুসপ্তাহ আগে নিজের বাড়ি ফিরে এসে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।এরপর ওই যুবকের গত ৫ই জুন নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লালা রসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।তারপর আজ তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।এরপর স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা তাকে করোনা হাসপাতালে নিয়ে যায়।এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পুরসভার ১৩নং ওয়ার্ডে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেল এক পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে।জানা গিয়েছে,ওই পরিযায়ী শ্রমিক কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্রে থাকতেন।কিন্তু লকডাউনের কারনে চলতি মাসের প্রথম দিকে তিনি নিজের জেলায় ফিরে আসেন।তারপর স্থানীয় কাউন্সিলর এর উদ্যোগে তাকে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।এরপর বেশ কয়েকদিন আগে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল।তারপর শুক্রবার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে বলে জানায় স্বাস্থ্য দপ্তর।এরপর সরকারি নির্দেশিকা মেনে ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঁশকুড়া বড়োমা করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গত ৬ জুন নতুন করে ৫ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তবে, সব আতঙ্ক কাটিয়ে গতকাল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন শেষ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিও। যার ফলে, আপাতত করোনা মুক্ত জেলা ঝাড়গ্রাম।রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী, শাল জঙ্গলে ঘেরা এই জেলায় করোনা আক্রান্তের সক্রিয় মামলা এই মুহূর্তে শূন্য। গত ৬ মে যে পাঁচজনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছিল, তারা প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ফলে, ঝাড়গ্রাম আপাততঃ করোনামুক্ত জেলা। তবে, করোনার বিষয়ে প্রথম থেকেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে কোনরূপ তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, এই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১১ জনই। ফলে, এই জেলায় সক্রিয় করোনা আক্রান্ত শূন্য।