Chief Minister
আরও পড়ুন ঃ–জামবনির বনডিহিতে ফের হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ ৯ দিন আগে বাংলার বুকে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় যশ (Yaas Cyclone) বা ইয়াস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে রাজ্যের বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে যেমন দিঘা (Digha), মন্দারমনি (Mandarmoni) এবং শঙ্করপুরের (Shankarpur) বিস্তৃত অঞ্চল। দিঘা (Digha) এবং মন্দারমনির (Mandarmoni) মত পর্যটনকেন্দ্রে সমুদ্রের পাড়ের সম্পূর্ণ পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। লন্ডভন্ড মমতার স্বপ্নের “মেরিন ড্রাইভ”। এমন পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ পর দিঘায় (Digha) রিভিউ মিটিং করতে এসে সমুদ্র বাঁধ রক্ষা করতে ম্যানগ্রোভ ও ভেটিভার ঘাস লাগানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরামর্শ মতো এবার বন দপ্তর এর তরফ থেকে সমুদ্র বাঁধ রক্ষার্থে দিঘায় (Digha) ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। গত বেশ কয়েক বছর আগে দিঘা (Digha) মোহনা (Mohana) উপকূলের পূর্ব মুকুন্দপুর- মৈত্রাপুর পর্যন্ত প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার জুড়ে সমুদ্র বাঁধে বল্লা পাইলিংয়ের কাজ করেছিল রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তর(Irrigation Departmen)। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের হানায় সেই বাঁধ রক্ষা হয়নি। বাঁধের একাধিক জায়গায় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে জল প্রবেশ করেছে সাধারণ জনবসতি এলাকায়। হলে রাজ্য সরকারের শেষ দপ্তরের চার কোটি টাকা ব্যয় করে এই বাঁধ পাইলিং একপ্রকার ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে বলা চলে।
উল্লেখযোগ্যভাবে , দিঘার(Digha) গঙ্গা মন্দির থেকে তামিলিমাঠ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে বাঁধে কোনরকম ক্ষতি হয়নি। যার মূল কারণ হিসেবে বলা চলে ওই এলাকায় ম্যানগ্রোভের জঙ্গল ব্যাপক পরিমাণে থাকায় বিশেষভাবে কাজ করেছে। যা একপ্রকার শিক্ষা দিয়েছে প্রশাসনকে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরেই দিঘায় (Digha) রিভিউ মিটিংয়ে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী( (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সমুদ্র (Sea) বাঁধ রক্ষার্থে ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ ও ভেটিভার ঘাস লাগানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন বনদপ্তরকে। আর তার পরেই এক প্রকার ইয়াস থেকে শিক্ষা নিয়ে দিঘা মোহনা উপকূলের ভাঙ্গন প্রবন এলাকাগুলিতে ম্যানগ্রোভের বলয় তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা বন দপ্তর। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ লাগানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে জেলার প্রশাসনিক মহলে।
১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে মূলত এই ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ রোপন করা হবে। যার ফলে উপকূলবর্তী মানুষের জীবন রক্ষা করবে এই ধরনের ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ। প্রথম পর্বে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল মাটি দিয়ে। পরে প্রশাসনের উদ্যোগে মাটির উপরে সিন্থেটিক চাদর ও জিও- জুট পেতে তার ওপর বল্লা পাইলিং করা হলেও সাম্প্রতিক এই জলোচ্ছ্বাসের রক্ষা করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে পরিবেশবিদরা বলছেন উপকূল এলাকায় যদি ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ লাগানো যায় সেক্ষেত্রে ম্যানগ্রোভ গাছের শিকর মাটি আঁকড়ে রেখে প্রতিরোধ করতে পারবে।
তবে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বনাধিকারিক অনুপম খান বলেন, “ইয়াসের বিপর্যয়ের পরেই ম্যানগ্রোভ রোপণের বিষয়ে রাজ্যস্তরে আলোচনা হয়েছে। বন দপ্তরের জায়গা ছাড়াও সমুদ্র উপকূলে ম্যানগ্রোভ চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দিঘা উপকূলের ওই অংশে কী ধরনের চারা উপযোগী তা সমীক্ষা করে দ্রুত লাগানো হবে।” তাছাড়া “আগামী তিন দিনের মধ্যে ওই সমস্ত ম্যানগ্রোভ গাছ কোথায় গেল তার রিপোর্ট জমা করতে হবে। রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে বসে থাকলে চলবে না। তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট চাই।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore