Contai Municipality
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলোতে খুব তাড়াতাড়িই ভোট হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পুরভোট জল্পনার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ‘অধিকারী গড়’ কাঁথির পুরসভার একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের নথি যাচাই শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) মানবকুমার সিংঘলের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। পাশাপাশি পুরসভায় নজরদারির জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুরে বাসের রেসারেসিতে প্রাণ হারাল বাইক আরোহী, আটক ঘাতক বাস
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরে এবার স্ত্রীর হাতে খুন স্বামী ! খুনের পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ
দুর্নীতিতে কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে। তার সময়কার বিভিন্ন নথি যাচাই করা হচ্ছে। আর তাতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।উল্লেখ্য, যে সময়ে প্রকল্পগুলির নথিপত্র ঘেঁটে দেখা হচ্ছে, তখন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন অধিকারী বাড়ির ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী। তৎকালীন শুভেন্দু অধিকারী পরিবহণ মন্ত্রী থাকার সময় কাঁথি পুরসভাকে হাই মাস্ট লাইট লাগানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:- রাজনৈতিক পালাবদলের পর মেদিনীপুর গ্রামীণ এলাকায় প্রথম সম্মেলন করল সিপিএম
Contai Municipality
তাছাড়া, কাঁথিকে গ্রীন সিটি করার জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু, দেখা যায় যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল তার চেয়ে কম সংখ্যক আলো লাগানো হয়। এমনকি গ্রীন সিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে বরাদ্দ করা অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছিল। সেই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি।পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, কাঁথি পুরসভায় অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করা হচ্ছে। সমস্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে সব রকম ভাবে সহায়তা করা হচ্ছে বলে পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:- “বাংলার বাড়ি” মেদিনীপুর শহরেও, তুলে দেওয়া হল ঘরের চাবি
উল্লেখ্য, যে সময় এই সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেই সময় কাঁথি পুরসভার পুর প্রধান ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের আঙুল সৌমেন্দুর দিকে। ৫ বছর ধরে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন সৌমেন্দু। বিধানসভা ভোটের আগে দাদা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সৌমেন অধিকারী। তবে গতবছর কাঁথি পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর তারপরেই ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করে। তার কিছুদিন পর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও বিজেপি যোগদান করেন। ফলে সৌমেন্দু’কে প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেয় সরকার।
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরে ঐতিহাসিক রাণী শিরোমণির কর্ণগড় এখন সুসজ্জিত পার্ক
এরপরেই দুজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণে সক্রিয় হয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই কাঁথি পুরসভায় ত্রিপল চুরির মামলা চলছে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এছাড়া আরও একাধিক অভিযোগ উঠেছে দুই নেতার বিরুদ্ধে। এবিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, কাঁথি পুরসভার উন্নয়নের কাজে বেনিয়মের অভিযোগ মিলেছে। তারই তদন্ত হচ্ছে। অপরদিকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারী বলেন, “অতিরিক্ত জেলা শাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল কাঁথি পুরসভার দুর্নীতির তদন্ত করছেন৷ পুরসভার পক্ষ থেকে তাদের সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে ৷’’
আরও পড়ুন:- কৃষি আইন বাতিলে মেদিনীপুর শহরে বিজয় মিছিল কৃষক সংগঠনের
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যে সময়ের দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, তখন শুভেন্দু এবং সৌমেন্দু দুজনেই তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তাঁরা বিজেপিতে আসার পর থেকেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার পরিকল্পনা করছে শাসকদল।’’ অভিযোগ উড়িয়ে এবিষয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তরুণ মাইতি বলছেন, ‘‘নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্ত হচ্ছে। এতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কিছু নেই। আর অন্যায় না করলে ভয় পাওয়ারও কোনও কারণ নেই।’’
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Contai Municipality
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore