Home » মিরজাফরদের মানুষ মেনে নেন না, মমতাকে নয়, শুভেন্দু মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে বললেন সৌগত, ফিরহাদ

মিরজাফরদের মানুষ মেনে নেন না, মমতাকে নয়, শুভেন্দু মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে বললেন সৌগত, ফিরহাদ

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

People do not accept Mirzafar

আরও পড়ুন ঃ-বিজেপির আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে তপ্ত নারায়ণগড়, পঞ্চায়েত সদস্যাকে মারধরের অভিযোগ

শুভম সিং: মেদিনীপুরে অমিত শাহের ‘হাত ধরে’ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।আর তারপরই বুধবার শুভেন্দুর খাসতালুক কঁথিতে প্রথম জনসভা করল তৃণমূল।আর সেখানে বিরোধী দল বিজেপি ও সদ্য পদ্ম শিবিরে নাম লেখানো শুভেন্দু অধিকারীকে নিসানা করে বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় ও রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন রামনগরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো- অডিনেটর অখিল গিরি,সুপ্রকাশ গিরি,সিদ্ধার্থ মাইতি, রহমান,মামুদ হোসেন সহ অন্যান্য দলীয় কর্মীরা।

এদিন সভায় সাংসদ সৌগত রায় বলেন, বাংলাতে এসে জে পি নাড্ডা মমতার বিধানসভায় মিটিং করলেন। তাতে কিছু ক্ষুব্ধ জনতা ইট ছোড়াছুড়ি করে।আর সেই ঘটনাকে নিয়ে কেন্দ্র সরকার যা দেখল মনে হল ভারত চীনের যুদ্ধ লেগে গিয়েছে।তাছাড়া ওদিন কিছু আহত ব্যক্তিদের মিথ্যা শাহিদের প্ররোচনা দেখতে চাইছে কিন্তু বাংলা ভুলবে না। কেন্দ্র সরকার বাংলার নেতাদের ওপর ভরসা করে না। তাই কেন্দ্র থেকে আমিত শাহ বারবার আসছেন বাংলায়।এদিন তিনি সংসদ দিলীপ ঘোষকে বলেন “ব্যাপার বেটা হলে তৃণমূলকে মারো”। অনেকেই শুভেন্দু অধিকারী কে বড়ো নেতা মনে করছেন। শুভেন্দু কোনো বড়ো নেতা নয়।দুবার ভোট হেরেছে তারপর জিতেছে।২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা নির্বাচনে নামিয়ে মন্ত্রী করলেন।তাকে সেচ ও পরিবহন দপ্তর দেওয়া হলো।আর কি চাই?তবে শুভেন্দু মমতাকে ছেড়ে চলে গেল। ও মীরজাফরদের দলে নাম লিখিয়েছে। মানুষ মীরজাফরদের মেনে নেয় না।তাছাড়া ‘মুখে সতীশ সামন্তের কথা বলছে, কিন্তু চলে গেল শ্যামাপ্রসাদের দলে। এটাই কী আদর্শ-নীতির রাজনীতি?

তবে ‘শুভেন্দু এমন কোনও বড় পালোয়ান নন, শুভেন্দুর থেকে বড় পালোয়ান অখিল গিরি।তাছাড়া কাঁথি কোনও পরিবারের সম্মত্তি নয়, কাঁথির মানুষ মমতার পাশেই রয়েছেন। তবে সরস্বতীর কোনও বরপুত্র এসে নন্দীগ্রামের আন্দোলন করেননি, দেখতে ভাল অনেকেই বলছেন তাঁরা নন্দীগ্রামের নেতা। কিন্তু নন্দীগ্রামের আন্দোলন হয়েছে মমতার নেতৃত্বেই।’গতকয়েকদিন আগে বৈঠকে অভিষেকের সামনে শুভেন্দু কোনও বিরোধিতা করেননি। কিন্তু তারপরই বলছে ভাইপো হঠাও। এটা দ্বিচারিতা। এইসব মিথ্যা কথা বলে বাংলার মানুষকে ভুল বোঝানো যাবে না। জনগন ইতিহাসের শেষ কথা বলে।তিনি অনেকটাই তিক্ততার সাথে বলেন গান্ধী হত্যাকারী দলে নাম লিখেছে শুভেন্দু অধিকারী।তাই তাকে ইঁদুর বিলাড়ের গল্পঃ বলে তুলনা করলেন শুভেন্দুকে।

এদিন শুভেন্দুকে নিশানা করে ফিরাদ হাকিম বলেন,শুভেন্দুবাবু আপনার লজ্জা লাগে না। যে কৃষকের আন্দোলন করছেন বলে আপনি দাবি করেন, সেই কৃষককে যারা বিক্রি করে দিতে চাইছে তাদের হাত ধরছেন! তিনটে কৃষি আইন এনেছে কেন্দ্র। একটা হল, কৃষকের মাল যে কোনও কর্পোরেট কিনতে পারবে। কৃষকের কোনও দাম থাকবে না। যে দাম কর্পোরেট দেবে সেই দামেই তাকে বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ কৃষকের ফসলের ওপরে কোনও অধিকার থাকবে না। দ্বিতীয়ত, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন তুলে দেওয়া হল। বাইরে থেকে মাল আসবে, এখান থেকে মাল যাবে। দাম বেড়ে যাবে।আপনি কৃষি আন্দোলন করেছিলেন। কৃষকের স্বার্থে তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।আর সেই আপনি অমিত শাহকে কী বললেন।আমাকে একটু ঠাঁই দাও। আমার যে কুকর্ম সেগুলোকে সব তুমি সরিয়ে দাও। তোমার পায়ের তলায় আশ্রয় নেব। শুভেন্দুকে এক সময়ের সহকর্মী বলতে লজ্জা লাগে এখন।তাছাড়া শুভেন্দু বিশ্বাসঘাতক,এর জন্য ক্ষমা চাইছি।


শুভেন্দু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নয়, শুভেন্দু মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে।নন্দীগ্রামের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে ফিরহাদ বলেন, আন্দোলন করেছিল সুফিয়ানরা। আর নেতা হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই শুভেন্দু অমিত শাহরে পা ধরল। এটা দেখার থেকে আমার মৃত্যু ভালো ছিল। আপনার দল পরবিবারতন্ত্রের কথা বলে। অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ কীভাবে বিসিসিআইয়েরপদে।কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছেলে কী নেতা নন।অনুরাগ ঠাকুরের বাবা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না।শিশির অধিকারীর ছেলে না হলে কেউ আপনাকে চিনত না। তাই সে শিশির বাবুর ছেলে বলে তাকে টিকিট দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর সেই পরিবার এখন তন্ত্রের কথা বলছে , বিজেপিতেও পরিবার তন্ত্র আছে।তাছাড়া যখন দেখলাম ১৯ শে ডিসেম্বর আমিত শাহর পা ধরছে তখন মনে হচ্ছিল এই দৃশ্য দেখার থেকে মৃত্যু অনেক ভালো।সব শেষে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে বলেন গল্পে আছে “মানুষ বাঘ তৈরি করে আবার বাঘ থেকে ইঁদুর করে”।তাছাড়া শুভেন্দু চলে যাওয়ায় রাজ্যের তৃণমূল কর্মীরা খুশি ।তবে এদিন জনসভার শেষে তৃণমূল নেতা তরুণ জানা’র অনুগামীরা হঠাৎই বিধায়ক অখিল গিরির উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে সভাস্থলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।তবে এই ঘটনার পর সভাস্থলে থাকা বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতৃত্ব ও ত‍রুণ বাবুর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

People do not accept Mirzafar

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.