Cyclone Gulab
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: গত সপ্তাহের শেষ থেকেই আকাশের মুখ ভার দেশের বিস্তৃর্ণ এলাকায়। এদিকে ইতিমধ্যেই মৌসুমী অক্ষরেখা বিশাখাপত্তনম হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর পৌঁছেছে। এ ছাড়াও একটি অফসোর অক্ষরেখা রয়েছে কর্ণাটক থেকে কেরল পর্যন্ত। আর তারজেরেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে।আর এই দুর্যোগের আশঙ্কায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা উপকূলে জারি হয়েছে কমলা ও হলুদ সতর্কতা। ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী এলাকায় চলছে মাইকে প্রচার।পাশাপাশি সমুদ্র প্রশাসনের তরফে তীরবর্তী অঞ্চল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের। উপকূলজুড়ে চলছে প্রচার। যাঁরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাঁদের দ্রুত ফিরে আসতে বলা হচ্ছে। বাকি যে ট্রলারগুলি ফিসিং বন্দরে রয়েছে, তাদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ব্লক প্রশাসন এবং কোস্টাল থানাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।ইতিমধ্যে জেলার প্রতিটি ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
আরও পড়ুন:- জল কমতেই মেদিনীপুর শহরে ভোগান্তি চরমে, বেহাল রাস্তাঘাট
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুরে বাইক আরোহীদের হেলমেট ও কাগজপত্র পরীক্ষার্থে অভিযান পুলিশের, ৭৫ টি বাইকে দেওয়া হলো বিভিন্ন মামলা
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ইতিমধ্যেই এই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং রবিবার তা ঘূর্ণিঝড়ে (cyclone ) পরিণত হবে। এরপর রবিবার বিকেলে সেই ঝড় প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলে।কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পিছু নিয়েছে আরও এক ঘূর্ণাবর্ত।আগামী মঙ্গলবার দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ফলে শুক্রবাই মত্স্যজীবীদের গভীর সমু্দ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।আগামী ৪৮ ঘণ্টা যাতে কেউ সমুদ্রে না যান, তার নির্দেশ দিয়েছে হাওয়া অফিস। ইতিমধ্যেই নবান্নর পক্ষ থেকে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরি রাখা হয়েছে। তাছাড়া গুলাবের (cyclone Gulab) প্রভাবে কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঝড় হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে আকাশ মেঘলা থাকবে।
Cyclone Gulab
আরও পড়ুন:- বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত, বিক্ষোভ – পথ অবরোধ পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে
গুলাবের প্রভাবে রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তবে কলকাতা-সহ বাকি দক্ষিণের জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে গুলাব বর্তমানে গভীর নিম্নচাপের রূপে রয়েছে। ক্রমশ তা অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।আর শেষে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে উপকূলে আছড়ে পড়বে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০-৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। অপরদিক রামনগর ১ ব্লকের সভাপতি শম্পা মহাপাত্র জানান, আসন্ন আবহাওয়ার অবনতির খবর পেয়েই দ্রুত প্রশাসনিক বৈঠক সারা হয়েছে। যে সমস্ত সমুদ্র উপকুলবর্তী এলাকা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেগুলিতে বিশেষ নজরদারী চালানো হচ্ছে। তাছাড়া গোটা এলাকাতেই মাইকিং করা শুরু হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় আইলা সেন্টার, স্কুলগুলিকে তৈরি রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশপুরের রাস্তায় সেতুতে গর্ত, বন্ধ ভারী যান চলাচল
বিশেষ করে শংকরপুর, গঙ্গাধরপুর, দত্তপুর এলাকাগুলি বেশী বিপজ্জনক হওয়ায় এই জায়গাগুলির আইলা সেন্টার, স্কুল ও পাকাবাড়ীগুলিকে তৈরি রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত শুকনো খাওয়ারও মজুদ রাখা হয়েছে।জেলা শাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, কেলেঘাই নদীর যে জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে তা দ্রুত মেরামতি হচ্ছে। এছাড়াও বানভাসি এলাকাগুলিতে পর্যাপ্ত ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মত্স্যমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত পূর্ব মেদিনীপুর (East Midnapore) জেলা প্রশাসন। সমস্ত ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদনীপুরের ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটে জয়ী তৃণমূল
আরও পড়ুন:- ঘরের জমা জলেই পড়ে মৃত্যু একরত্তির! পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Cyclone Gulab
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Since the end of last week, the sky is the limit in a wide area of the country. Meanwhile, the seasonal axis has already reached the West-Central Bay of Bengal via Visakhapatnam. There is also an offshore axis from Karnataka to Kerala. There is a possibility of heavy rains in the southern states. And orange and yellow warnings have been issued on the Digha coast of East Midnapore district for fear of this disaster. Meanwhile, the administration is promoting Mike in the coastal areas. Besides, the sea administration is returning tourists from the coastal areas. The campaign is going on along the coast. Those who have gone fishing in the sea are being asked to return quickly. The rest of the trawlers in the fishing port are not allowed to go to sea. Block administration and coastal police stations have been alerted..
Control rooms have already been opened in every block of the district. The Alipore Meteorological Department forecast that the depression has already turned into a deep depression and will turn into a cyclone on Sunday. Later on Sunday afternoon, the storm may hit the Orissa-Andhra coast with strong force. Another cyclone followed the cyclone. The sea will be rough due to the effect of the cyclone. As a result, fishermen have been asked to return from the deep sea on Friday. The weather office has instructed that no one should go to sea for the next 48 hours. A red alert has already been issued by Navanna. The Coast Guard and the Disaster Response Force have been kept ready. Moreover, the impact of cyclone Gulab is unlikely to cause storms in Kolkata or its environs. However, the sky will be cloudy.
Due to the effect of roses, heavy rain is expected in East Midnapore on Sunday. However, the rest of the southern districts, including Kolkata, may receive light to moderate rainfall. However, the rose is currently in the form of deep depression. Gradually it will turn into a very deep depression. At the end of the cyclone will hit the coast. Meteorologists believe that the maximum speed of the wind when it hits the coast can be up to 80-90 kilometers per hour. On the other hand, Shampa Mohapatra, president of Ramnagar 1 block, said that the administrative meeting was held quickly after receiving the news of the impending weather. Special surveillance is being carried out in the coastal areas which are most affected. Moreover, miking has started in the whole area. Aila centers, schools have been set up in each area.
Especially the areas like Shankarpur, Gangadharpur, Dattapur are more dangerous and the Aila Centers, schools and pakabaris of these places have been kept ready. Adequate dry food has also been stockpiled. District Governor Purnendu Kumar Maji assured that the place where the dam broke in Keleghai river is being repaired quickly. He also said that adequate relief was being sent to Banavasi areas. Fisheries Minister Akhil Giri said the East Midnapore district administration was ready to deal with the cyclone. Control rooms have been opened in all the blocks. The situation is being monitored, the minister said.