ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : “পুলিশকে কাজে লাগিয়ে, বাইরের থেকে মস্তান এনে নির্দল প্রার্থী অর্পিতা নায়েককে হারানোর চেষ্টা হয়েছিল।” মেদিনীপুর পৌরসভার পৌর প্রধানের মন্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে তৃণমূলের অন্দরে। মেদিনীপুর শহরে পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল করলো তৃণমূল কংগ্রেস। গত রবিবার মেদিনীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার পৌর প্রধান সৌমেন খান সহ ১০ জন কাউন্সিলর।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অর্পিতা নায়েক। তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে জিতেছেন। তৃণমূল থেকে তাকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার আয়োজিত অনুষ্ঠানের ভিডিওতে সৌমেন খান-কে বলতে শোনা গিয়েছে, “বিভিন্নভাবে অর্পিতা নায়েককে হারানোর জন্য পুলিশ থেকে শুরু করে নানারকম চক্রান্ত করেছে। শুধুমাত্র আপনারা পাশে থেকে তাকে রক্ষা করেছিলেন বলে অর্পিতা নায়েক আজ পৌরসভার কাউন্সিলর হয়েছে আপনাদের সেবা করার জন্য। পুলিশকে কাজে লাগিয়েছিল, বাইরের থেকে মস্তানদের এনেছিল, মা-বোনদের ভয় দেখানো থেকে আরম্ভ করেও কিন্তু পারেনি।”
তিনি বলেন, “আমাদের বাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, মানুষই শেষ কথা বলবে। মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে, মানুষের যাকে পছন্দ হবে তাকে বেছে নিতে হবে। কাউকে ভয় দেখিয়ে নয়।” তার এই মন্তব্যের পরই শোরগোল। ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরাও। তাদের অভিযোগ, পৌরপ্রধান জানেন গুন্ডা এবং পুলিশকে কাজে লাগিয়েই মেদিনীপুর পৌরসভায় পৌর বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। ওই বোর্ডের পৌরপ্রধান সৌমেন খান। ওই বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ হতেই মঙ্গলবার ধিক্কার মিছিল করল ১৪ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস।
যার নেতৃত্ব ছিলেন মেদিনীপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকায় তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য মাথা চাড়া দিয়েছে। চব্বিশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী হারার পেছনে আঙ্গুল তুলেছে তৃণমূলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে। সেই বিষয়ের রেস কাটতে না কাটতেই এবার নতুন বিতর্ক দেখা দিল পৌর প্রধানের বক্তব্যে।
আরও পড়ুন : অষ্টম প্রহর অনুষ্ঠানের বাজার করতে বেরিয়ে মেদিনীপুর শহরে মালগাড়ি ধাক্কায় মৃত্যু হল যুবকের
ওই দিনের অনুষ্ঠানে পৌরপ্রধান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সৌরভ বসু, উপ-পৌরপ্রধান অনিমা সাহা, সুসময় মুখার্জী, অর্পিতা নায়েক সহ অন্যান্যরা। তৃণমূলের অভিযোগ, সরকারকে কালিমালিত্ব করতে, মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালিয়েছেন পৌরপ্রধান সৌমেন খান। তাকে ধিক্কার জানিয়ে মঙ্গলবার মিছিল করে। নেতৃত্বে বিশ্বনাথ পাণ্ডব। তিনি বলেন, “আমাদের দল মেদিনীপুর পৌরসভায় যাকে পৌরপ্রধান করেছেন, আমরা তাকে সমর্থন জানিয়েছিলাম।
কিন্তু লজ্জার বিষয় তিনি তৃণমূল কংগ্রেস দলটা করেননি। তিনি কংগ্রেস করেছেন। তিনি বলেছেন পুলিশ নাকি অত্যাচার করেছে, গুন্ডা নামানো হয়েছিল অর্পিতা নায়েককে হারানোর জন্য। উনি কোন দলের বোর্ডের পৌর প্রধান? উনি যদি তৃণমূলের পৌর বোর্ডের পৌরপ্রধান হন, তাহলে যিনি দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন তার হয়ে কথা বলেন কিভাবে? দলকে কালিমালিপ্ত করতে এমন মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছেন।”
আরও পড়ুন : মেদিনীপুর শহরে দোতলা বাড়িতে ভয়াবহ আগুন, সামাল দিতে হিমশিম দমকল
আরও পড়ুন : ক্ষীরপাইয়ের বস্তিতে ভয়াবহ আগুণ! রাতের অন্ধকার ভেদ করে আকাশে উঠল লেলিহান শিখা
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore Municipality
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper