পত্রিকা প্রতিনিধি : দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাসপাতাল ৭২ ঘন্টা বন্ধের সিদ্ধান্তের পর এবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ডিভিশনাল কার্যালয়ের অর্থাৎ ডিআরএম বিল্ডিং এর পার্সোনাল বিভাগ ৪৮ ঘন্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুরের ডিভিশনের ডি.আর.এম মনোরঞ্জন প্রধান । এর আগেও কণ্ট্রোল বিভাগের একাধিক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।সেই সময় বিল্ডিংয়ের কন্ট্রোল বিভাগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল । তার মধ্যেই নতুন সংযোজন রেলের পার্সোনাল বিভাগ । KHARAGPUR, kharagpur, kharagpur, kharagpur news, biplabi sabyasachi news, medinipur news, bengali news, latest bengali news
জানা গেছে কদিন আগেই বিভাগের এক কর্মীর করোনা আক্রান্ত হন এর পরেই ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা একাধিক রেলের কর্মীরা স্বইচ্ছায় করোনার পরীক্ষা করান যার মধ্যে অনেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপরেই সিনিয়র ডিভিশনাল পার্সোনাল আধিকারিকের (DPO) শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা যায়। তারপরেই তিনি ঠিক করেন উনার পরিবারের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করা হবে। আজকেই অ্যন্টিজেন টেস্টে সিনিয়র ডিপিও, তার স্ত্রী এবং ৩ বছরের শিশুর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে । এর পরেই একাধিক রেল কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায় এবং ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । এইদিকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের অ্যন্টিজেন টেস্টে করা ৮ জনের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ।সেই বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আমরা ফিরব পরবর্তী সংবাদে।
অপরদিকে জেলায় প্রথমবার কোনো সাংবাদিক করোনা সংক্রমিত হলেন! পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী, আধিকারিক, আমলা, নেতা, মন্ত্রী প্রায় সকল শ্রেণীর করোনা যোদ্ধাই সংক্রমিত হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরে; বাকি ছিলেন, কেবল সাংবাদিক কূল! এবার, করোনা’র কুনজরে পড়লেন সাংবাদিকরাও। জেলার প্রথম সাংবাদিক হিসেবে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, খড়্গপুর শহরের বাসিন্দা তথা একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সাংবাদিক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে একাধিক উপসর্গ দেখা দিয়েছিল তাঁর। গতকাল (সোমবার) তাই লকডাউনের মধ্যেও তাঁকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এরপর তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আপাতত স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতিক্রমে তিনি হোম আইশোলেশনে আছেন বলে জানা গেছে।
আরো পড়ূণ- নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি, আত্মঘাতী চন্দ্রকোনার বিএসএফ জওয়ান
অপরদিকে, খড়্গপুরের ২৮ নং ওয়ার্ডের (তালঝুলি) এলাকার এক করোনা আক্রান্ত রেলকর্মী (৪৪)’র মৃত্যু হয় শনিবার। সোমবার ওই পরিবার এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সংস্পর্শে থাকা প্রায় ৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। এর মধ্যে ১২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে সোমবার! উল্লেখ্য যে, একই পরিবারে একসঙ্গে ১২ জন করোনা আক্রান্ত খড়গপুর শহরে এই প্রথম! এছাড়াও শহরের বুলবুলচটি, ঝাপেটাপুর, ইন্দা, ছোটো ট্যাংরা, ছোটো আয়মা, তালবাগিচা সহ বিভিন্ন এলাকায় এদিন মোট ২৮ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানা যায় স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে। উল্লেখ্য যে, গত শনিবার ও রবিবার মিলিয়ে খড়্গপুর দমকল বাহিনীর ১৪ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। অপরদিকে, একের পর এক রেলকর্মী, আধিকারিক ছাড়াও রেলের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা (প্রায় ২৫ জন) করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত দু’দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে রেল হাসপাতাল। গতকালও র্যাপিড অ্যান্টিজেনে ১০ জন সাফাইকর্মীর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাই, পুরো হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করে পুনরায় তা খোলা হবে বলে জানা গেছে। আর, এ নিয়েই চিন্তিত রেল কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। কারণ, রেল সূত্রে করোনা আক্রান্তদের এই রেল হাসপাতালেই চিকিৎসা হচ্ছিল, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ার পর থেকে। তাই, এই দু’দিন নতুন করে কেউ সংক্রমিত হলে কোথায় রাখা হবে তা নিয়েই চিন্তিত তাঁরা। যদিও, রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনো অসুবিধা হবেনা, উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi