Residence in the memory of Rishi Rajnarayan Basu, which turned into a haunted house in the conflict between Midnapore College and Collegiate School.
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : নিষ্পত্তি হয়নি আদালতের বিচারাধীন মামলা। মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের দ্বন্দ্বে ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত ঋষি রাজনারায়ণ বসুর স্মৃতি বিজড়িত আবাসন। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে জোর করে দখল নেওয়ার। ভবনটিকে বাঁচানোর দাবি তুলছেন একদল শিক্ষক। 1834 সালে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। 1873 সালে মেদিনীপুর কলেজ স্থাপিত হয়।
আরও পড়ুন:- ঝাড়গ্রামে বিজেপির জেলা কার্য্যালয়ে হামলা- কান্ডের খেসারত, বহিষ্কৃত দলের ৪ নেতা
আরও পড়ুন:- ডেবরায় কিশোরী ‘খুন’, মেদিনীপুরে জেলা শাসক দফতরে বিক্ষোভ
তখন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আচার্যই মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীকালে কলেজিয়েট স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক হন রাজনারায়ণ বসু। তিনি প্রথম থেকেই পাশের ওই আবাসনে থাকতেন। কলেজিয়েট স্কুলের দাবি, ওই আবাসন থেকে স্কুলে আসার জন্য প্রাচীরের ভেতর দিক দিয়ে তার যাতায়াতের পথ ছিল। আবার ওই আবাসন থেকেই রাজনারায়ণ বাবুর বড় মেয়ে স্বর্ণলতাদেবীর 1881 সালে বিয়েও হয়। সেই বিবাহ অনুষ্ঠানে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ব্রম্ভানন্দ কেশবচন্দ্র সেন সহ বহু বিশিষ্টজনের পদধূলি পড়ে।
আরও পড়ুন:- নেই জেলা ও শহর সভাপতি, মেদিনীপুরে তৃণমূলের মিছিলে নেতৃত্ব সৌমেনের
Haunted House
আরও পড়ুন:- কল করতে গিয়ে ব্লাস্ট মোবাইল! প্রাণে বাঁচলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের যুবক
যা আজও আবাসনের ভেতরের দেওয়ালে পাথরের ফলকে খোদায় করে লেখা আছে। রাজনারায়ণ বাবুর পরবর্তী প্রধান শিক্ষকরাও সেখানে ছিলেন। পরবর্তীকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিপদ মন্ডল তাঁর নিজের বাড়ি মেদিনীপুর শহরে হওয়ায়, তিনি আর ওই আবাসনে থাকতেন না। ওই ফাঁকা আবাসনে কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে কলেজ অধ্যক্ষকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। অপরদিকে মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র বেরা জানান, অন্যায় দাবি করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। দলিল থেকে শুরু করে রেকর্ডে পরিষ্কার ভাবে ওই ভবনটি অধ্যক্ষ আবাসন হিসেবে উল্লিখিত আছে।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর মেডিক্যালের মর্গে দেহ নিতে গেলে টাকার দাবি কর্মীদের, উত্তেজনা
কলেজ অধ্যক্ষ পরেশনাথ ঘোষের আমল থেকে কলেজ অধ্যক্ষরাই থেকে এসেছেন। কয়েক বছর আগে অধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী পর্যন্ত সেখানে থেকেছেন। তাঁর অবসরের পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুদিন কুমার বাগ মেদিনীপুর শহরে তাঁর বাড়িতেই থাকতেন। সেই সুযোগেই কলেজিয়েট স্কুল কর্তৃপক্ষ সেটিকে যৌথ সম্পত্তি দাবি করে বসে। গোপাল বাবু বলেন, একবার কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিপদ মন্ডল ওই আবাসনে থাকার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন, যা খারিজ করে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরে তরুনীকে ‘ধর্ষণের পর খুন’, আটক ৩, ভাড়াটিয়া রাজমিস্ত্রীকে খুঁজছে পুলিশ
মেদিনীপুর কলেজিয়েট প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সরোজ দাস বলেছেন, “কার দাবি সঠিক জানি না। কিন্তু আমরা চাই বহু স্মৃতি বিজড়িত ভবনটি সংস্কার করে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক। অনেকে আবার সেখানেই মিউজিয়াম তৈরি করার দাবি তুলেছেন।” বর্তমানে ওই আবাসনের ঘরের জানালা দরজা থেকে শুরু করে কোন আসবাবপত্র অবশিষ্ট নেই। তা চুরি হয়ে গিয়েছে। নেশায় আসক্ত যুবকরা ওই বাড়িটিকেই বেছে নিয়েছে তাদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Haunted House
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore