Home » Paschim Medinipur : দশ হাজার টাকা ও তার স্ত্রী রাত কাটালে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া স্বামীদেরকে ছাড়া হবে, অভিযুক্তকে আটকে বিক্ষোভ

Paschim Medinipur : দশ হাজার টাকা ও তার স্ত্রী রাত কাটালে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া স্বামীদেরকে ছাড়া হবে, অভিযুক্তকে আটকে বিক্ষোভ

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : শ্রমিকের কাজে যুবকদের নিয়ে গিয়েছিল গুজরাটে। তাদের জানানো হয়েছিল ওখানে শ্রমিকের কাজ রয়েছে। ভালো বেতনও পাবে। সেই হিসেবে মেদিনীপুর সদরের ১৪ জন যুবক ঝাড়গ্রামের খালশিউলি এলাকার এক ব্যক্তির মারফত পাড়ি দিয়েছিল ভিন রাজ্যে। সেখানে গিয়ে কাজের পরিস্থিতি দেখে তারা বুঝতে পারেন এখানে কাজ করা যাবে না। দু’মাস পর তারা বাড়ি ফেরার জন্য জানান কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বাড়ি ফিরতে দিতে চাননি বলে অভিযোগ।

আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :

For WhatsApp Group 1: Click Here

For WhatsApp Group 2: Click Here

নিজস্ব চিত্র

স্থানীয় যে ব্যক্তির মারফত গুজরাটে কাজে গিয়েছিল সে দশ হাজার করে টাকা চেয়েছে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য। শুধু তাই নয়, যে যুবকরা কাজে গিয়েছে তাদের স্ত্রীদেরকে তার সঙ্গে রাত কাটাতে হবে বলেও অভিযোগ। এরপরই স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে পেয়ে গ্রামে নিয়ে এসে স্থানীয় ক্লাব ঘরে আটকে তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার বিকেলে মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরডাঙ্গা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। পুলিশকেও হিমশিম খেতে হয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে। প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, গত দু’মাস আগে খালশিউলি এলাকার বাসিন্দা রাজু মুখীর মারফত খেজুরডাঙ্গা গ্রামের ১৪ জন যুবক গুজরাটে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। ওখানে কাজ করতে পারবেন না বুঝতে পেরে দু’মাসের বেতন চেয়ে বাড়ি ফেরার কথা জানান। যদিও উল্টে তাদের বেতন না দিয়ে বাড়ি ফিরতে দেওয়া হবে না বলে অভিযোগ। বাড়ি ফিরতে চাইলে দশ হাজার করে টাকা লাগবে। এই পরিস্থিতিতে সাতজন যুবক ছয় হাজার করে টাকা দিয়ে বাড়ি ফিরেছে। তাদের মধ্যে তাপস মন্ডল বলেন, “আমরা গরীব মানুষ। কাজের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে কাজ দেখলাম তা আমরা পারবো না। তবুও দু’মাস কাজ করেছি। তারপর বাড়ি ফিরতে চাইলে আমাদের বাড়ি ফিরতে দেওয়া হবে না বলে জানায়।

আরও পড়ুন : প্লাবিত ঘাটাল, মেদিনীপুর শহরেও বাড়িতে ঢুকলো জল

আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ

বেশি জোর করলে মেরে ফেলা হবে বলেও জানানো হয়েছে। পরে আমরা ছয় হাজার করে টাকা দিয়ে ৭ জন বাড়ি ফিরেছি। বাকিরা এখনো আছে।” ওখানে আটকে থাকা সাত জন যুবকের মধ্যে এক যুবকের স্ত্রী বলেন, “রাজুর মাধ্যমে আমার স্বামী কাজে গিয়েছে। বাকিরা বাড়ি ফিরেছে। পুজোর আগে আমার স্বামী সহ বাকিদের বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল। এখন রাজুকে ফোন করতে বলছে দশ হাজার টাকা লাগবে। আমরা গরিব মানুষ তাও পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি। তারপরও বলছে তার সঙ্গে রাত কাটাতে হবে না। না হলে বাড়ি ছাড়বে না। বিষয়টি গ্রামে এবং স্থানীয় ক্লাবে জানায়। গ্রামবাসীদের পরিকল্পনা মতো আজ তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।

সেখান থেকেই তাকে গ্রামবাসীরা ধরে নিয়ে আসে।” স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ ওই সাতজন যুবকের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুক। যতক্ষণ না তারা বাড়ি ফিরছে ওই যুবককে ছাড়া যাবে না। পরে তাদের বুঝিয়ে অভিযুক্ত রাজু মুখীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা বিনয় মাঝি বলেন, “আমরা পুলিশকে পরিস্কার জানিয়েছি আমাদের যে সাতজন ওখানে রয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগও জানাবো।” যদিও অভিযুক্ত রাজু মুখী বলেন, “সবাইকে বলা হয়েছে তিন চার মাস কাজ করতে হবে। টাকা খরচ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এক-দু’মাস কাজ করে ফিরে এলে মালিক যে টাকা খরচ করে নিয়ে গিয়েছে তার কি হবে। তবে আমার ভুল হয়েছে এক মহিলাকে খারাপ কথা বলা।”

আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার

আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Paschim Medinipur

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper

You may also like

Leave a Comment

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.