Home » Laxmi Puja : লক্ষ্মীপুজোর দিনেই সন্তানের ভালো সঙ্গীর কামনায় সুবর্ণরেখার দুই তীরে পালন ‘আভড়াপুণেই’

Laxmi Puja : লক্ষ্মীপুজোর দিনেই সন্তানের ভালো সঙ্গীর কামনায় সুবর্ণরেখার দুই তীরে পালন ‘আভড়াপুণেই’

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

Laxmi Puja 2022 : আভড়াপুনেই পলিত হলো অবিভক্ত মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। রবিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার দিনে দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তবাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিশেষ করে সুবর্ণরেখার উভয় তীরে পালিত হয় “আভড়াপুণেই” বা অব্যূঢ়া পূর্ণিমা (অব্যুঢ়া ব্রত)। এই লিঙ্গবৈষম্য হীন লৌকিক উৎসব অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের জন্য।


আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : https://chat.whatsapp.com/DaQgpKDDIIH7nyDIMgrMFP


ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : আভড়াপুনেই পলিত হলো অবিভক্ত মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। রবিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার দিনে দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তবাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিশেষ করে সুবর্ণরেখার উভয় তীরে পালিত হয় “আভড়াপুণেই” বা অব্যূঢ়া পূর্ণিমা (অব্যুঢ়া ব্রত)। এই লিঙ্গবৈষম্য হীন লৌকিক উৎসব অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের জন্য।

Laxmi Puja

উৎকল সংস্কৃতি বা ওড়িশার রীতি প্রভাব এই উৎসবে লক্ষ্য করা যায়। ওড়িশার “কুমার পূর্ণিমা”র প্রভাব এই “আভড়াপুণেই” উৎসবে পরিলক্ষিত হয়। এই উৎসবে মা,ঠাকুমা,দিদিমারা অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের মঙ্গল কামনা করেন।তাঁদের অবিবাহিত সন্তানরা যাতে ভবিষ্যৎ এ ভালো জীবনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গিনী পায় সেই কামনা করা হয়।এদিন বাড়িতে পিঠে,পায়েস, লুচি, সুজি,ক্ষীরি থেকে শুরু করে নানা নিরামিষ পদ তৈরী হয়।

Laxmi Puja

এদিন সারাদিন অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের “ভুজা” বা মুড়ি খাওয়া বারণ। মুড়ি খেলে এই ব্রত “বুড়ি যাওয়া”র (ডুবে যাওয়া) বা ডিসকনটিনিও হওয়ার ভয় থাকে। এদিন স্নান করে নতুন পোশাক বা নিদেন পক্ষে নতুন রেশম(ঘুনশী) কোমরে পরতে হয়। স্নানের পরে মায়েরা অবিবাহিত সন্তানের মঙ্গলকামনায় কপালে চন্দনের মঙ্গল টীকা পরিরে দেন। অনেক অবিবাহিত ছেলেমেয়েরা ,যাদের বয়স একটু বেশি তারা অনেক ক্ষেত্রে নিজের ভবিষ্যৎ জীবনে কার্তিকের মতো স্বামী বা লক্ষ্মী প্রতিমার মতো স্ত্রী পাওয়ার লক্ষ্যে সরাদিন উপবাস রেখে ব্রত করেন।

আবার কারো কারো মতে চাঁদের মতো সুন্দর জীবন সঙ্গী বা জীবনসঙ্গীনি পাওয়া এই ব্রতর লক্ষ্য।পূর্ণিমার চাঁদ উদয় হওয়ার পর এই ব্রত শেষ হয় তুলসী গাছে জল ঢেলে। ছেলেমেয়েদের মঙ্গল কামনায় অনেক ক্ষেত্রে মা তুলসী গাছে জল ঢালেন।ব্রত শেষে আজকাল তুলসী গাছে জল ঢালার রীতি প্রায় হারিয়ে গেছে।এই উৎসবে ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে সমান।

এই নিয়ে আগের দিনে মা-ঠাকুমারা অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের আশীর্বাদ করে বলতেন” “পো মেনেকার নিশ বাঢ়ু” অর্থাৎ ছেলেদের গোঁফ বাড়ুক ,আর বলতেন “ঝি মেনেকার আইস বাঢ়ু” অর্থাৎ মেয়েদের আয়ু বাড়ুক। আজকের আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় “আভড়াপুণেই” এর জৌলুষ বা আচার অনেকটা ফিকে।এই রীতি মেনেই ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের আমরদা গ্রামে নাতনি (মেয়ের মেয়ে) সম্প্রীতির আভড়াপুণেই পালন করলেন তার দিদিমা মৃদুলা রানী ভূঞ্যা‌।

গোপীবল্লভপুর-২ নং ব্লকের জুনশোলা গ্রামে রিদম পালের ও অলিভিয়া পালের আভড়াপুণেই পালন করলেন যথাক্রমে রিদমের মা রূপশ্রী পাল অলিভিয়া মা মৌয়া পাল। লোকসংস্কৃতি বিষয়ে অনুসন্ধিৎসু চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়ার মতে,এই লৌকিক উৎসব গুলোর সাথে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির শেকড়ের যোগ রয়েছে। তাঁর আক্ষেপ, এগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন : উমার বিদায়! পুজোর কার্নিভালে মেতে উঠলেন মেদিনীপুরবাসী

আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে উত্যক্ত করায় ব্যক্তিকে আছড়ে মারল ক্ষুব্ধ হাতি

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Laxmi Puja

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.