পত্রিকা প্রতিনিধি: নন্দীগ্রামের আম্ফানে ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার ক্ষোভে বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ। নন্দীগ্রামের হাজরাকাঁটায় , ভাকুটিয়া,নন্দীগ্রামের ৩নং কেন্দ্যামারি গ্রামপঞ্চায়েতের এলাকায়।ক্ষতিপূরণের তালিকা প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষ। সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ক্ষতিপূরণ টাকা পায়নি। পঞ্চায়েত সদস্য ও এলাকার নেতা-নেত্রীদের নাম রয়েছে !ওই লিস্টে যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাদের নাম রয়েছে।একাউন্টে টাকা ও ঢুকেছে। ধীরে ধীরে নন্দীগ্রাম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বাধ্য হয়ে নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান,উপ প্রধান ,সদস্য ছাড়াও দলের কর্মকর্তা যাদের এ্যাকাউন্টে আমফানের টাকা ঢুকেছে তারা টাকা ফেরৎ দিচ্ছেন । এখন পর্যন্ত্য ২০০জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মকর্তাকে দলের তরফ থেকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব প্রাপ্ত মেঘনাদ পাল।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভারতীয় জনতা পার্টি সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন যে দলটা নিজেরাই নিজেদের একাউন্টে টাকা নিয়েছিল সংশ্লিষ্ট বিডিও কে চাপ সৃষ্টি করে। যখন জনরোষে পড়েছে নেতা-নেত্রীরা তাই লোক দেখানো তাদের শোকজ করার কথা বলছে। এটা সবটাই নাটক। মানুষ বুঝে গেছে তাই তাদের চোখের ধুলো দেওয়ার জন্য এইসব নাটকীয় ঘটনা শুরু করেছে তৃণমূল। আগামী ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে সেটা জানতে পেরে বহু রকম নাটকীয় ঘটনা সাধারণ মানুষের সামনে আনার চেষ্টা করছে।