ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির জয় ধরে রাখতে এখনও ভরসা করছে বিজেপি নেতারা দিলীপ ঘোষের উপরে। নির্বাচনী সভাতে শুভেন্দু অধিকারীর মুখ থেকে শোনা গেল সেই দিলীপ ঘোষের নাম। প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে শুভেন্দু-দিলীপের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তাতে ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা। তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রে ভোট চতুর্থ দফাতে মিটে গেলেও এখনও পর্যন্ত মেদিনীপুরে দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সভায় তাঁকে আনার চেষ্টায় বিজেপি নেতারা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
জল্পনা রয়েছে দিলীপ ঘোষকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী না করাই তার অনুগামীরা সেই ভাবে প্রচারেও নামছে না। রবিবার খড়্গপুর শহরে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে। তার আগে শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিড়াকাটা, পাঁচখুরি, কেশিয়াড়িতে সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাঁচখুরির সভাতে তিনি দিলীপ ঘোষের প্রশংসা করলেন। তিনি বলেছেন, “দিলীপ ঘোষ জিতে গিয়েছেন এক লক্ষ ভোটে।” যদিও সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর লবির বিরোধিতার জেরে তাঁকে মেদিনীপুর আসন ছাড়তে হয় বলে গুঞ্জন। মূলত কুড়মি ভোটের বিরোধিতার জুজু দেখিয়েই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ভালো নেয়নি দিলীপের অনুগামীরা।
Midnapore Lok Sabha
যা বুঝতে পেরেছেন হয়তো শুভেন্দু অধিকারী। এদিন পাঁচখুরির সভা থেকে তিনি বলেন, “দিলীপ দা জিতে গেছে, চিন্তা করবেন না। দিলীপ দা ফাইটার আমাদের। ওই সিটটা একটু টাইটাই ছিল। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপ দাকে পাঠিয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুরে। তিনি ছক্কা মেরে দিয়েছেন। এক লক্ষ ভোটে জিতবেন।” পাশাপাশি কুড়মি ভোটকে বিজেপির ভোট বাক্সে নেওয়ার জন্য কুড়মিদের আন্দোলন এবং গ্রেফতার প্রসঙ্গে মুখ খুলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজেশ মাহাত গ্রেফতারের পর তার বাড়ি গিয়েছিলেন শুভেন্দু, তাও স্মরণ করিয়ে দেন। তবে কুড়মিদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে তৃণমূলকে ভোটে হারানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি। পাঁচখুরিতে সভা করার জায়গা পাওয়া নিয়ে শাসক দল সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।
২০২১ এ বিধানসভার পর বহু কর্মীকে ঘর ছাড়া এবং জরিমানা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। সেই সমস্ত তালিকা জেলা বিজেপি নেতারা তাঁর হাতে তুলে দেন। শুভেন্দু বলেন, “২০২১ এর পর বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া করা হয়েছিল। জরিমানা আদায়ও করা হয়েছে। সেই জরিমানার টাকা ১২ শতাংশ সুদ সহ ফেরত নেওয়া হবে। দীপক সরকার, সুশান্ত ঘোষ, লক্ষণ শেঠকে আমি সোজা করেছি। নেতাই থেকে লাশ কুড়িয়ে এনেছি। এই পেঁচি মস্তানদের সোজা করতে ৩ সেকেন্ড লাগবে না। তৃণমূল নেতা দিনেন রায়, মুকুল সামন্ত, গণি ইসমাইল মল্লিক এরা বিরাট নেতা। বিড়ি নিভিয়ে নিভিয়ে খেত।” দিনেন রায়কে চোর বলেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “সব বালি খাদান থেকে টাকা তোলে।”
আরও পড়ুন : জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম মেদিনীপুর মিশন গার্লসের তনুকা
আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে জেলায় প্রথম মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের কৌস্তভ , প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore Lok Sabha
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper