ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : বিজেপি প্রচারে বলছে মোদীজি নাকি বাড়ির টাকা পাঠিয়েছে। তৃণমূল নাকি সেই টাকা দেয়নি। বিজেপির কোন নেতা আপনার গ্রামে এসে যদি এই কথা বলে তাকে গাছে বেঁধে রাখুন। এমনই মন্তব্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের আনন্দপুরে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেবের নির্বাচনী জনসভা ছিল। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, “বিজেপি প্রচারে আপনাদের বলছে মোদীজি নাকি বাড়ির টাকা পাঠিয়েছে, তৃণমূল নাকি টাকা দেয়নি।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
আমি বলব বিজেপির কোনো নেতা আপনার কাছে এসে বলে মোদীজি টাকা পাঠিয়েছে বাড়ির, তাকে গাছে বেঁধে আমাকে ফোন করবেন। গ্রামে বেঁধে রাখবেন। আমাদের প্রতিনিধিদের জানাবেন। গায়ে হাত দেবেন না। চুপচাপ বেঁধে রাখবেন।” বরাবরই তৃণমূল সরব হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্র সরকার দেয়নি বলে। প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত রাস্তায় নেমেছিলেন। এদিন অভিষেক বলেন, “২০২১-এ বিধানসভায় বিজেপি হারার পর ২০১৭-১৮ আবাসের যে তালিকা তৈরি হয়েছে, বিজেপি যদি প্রমাণ করতে পারে দশ পয়সা আবাস যোজনায় কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে দিয়েছে, আমি তৃণমূলের হয়ে কোনো সভা সমিতিতে ভোট চাইতে যাব না।
রাজনীতিতে পা রাখবো না।” সভাতে বিজেপির পাশাপাশি সিপিএমকেও নিশানা করেছেন তিনি। সিপিএমের নেতারা এখন বিজেপির জার্সি পড়ে এলাকায় আবার সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। তবে চার তারিখের পর যে ভাষায় বোঝে সেই ভাষায় বোঝানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সিপিএমের চোখ রাঙানি, রক্তচক্ষু, হার্মাদ বাহিনীদের সন্ত্রাস উপেক্ষা করে, চোখে চোখ রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিল মানুষ। তার মধ্যে কেশপুর বিধানসভা ছিল অন্যতম। রাজ্যে পঞ্চাশ হাজার সহকর্মীকে আমরা সিপিএমের হাতে হারিয়েছিলাম। সিপিএমের কিছু হার্মাদ বিজেপির জার্সি পড়ে কেশপুরের সেই কালো দিন ফিরিয়ে আনতে চাইছে।
৪ জুনের পর যে ভাষায় বোঝেন সে ভাষায় জবাব দেবো। সাহস ভালো, দুঃসাহস সাহস ভালো নয়। এলাকায় শান্তি সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেব না। আমরা যতদিন বেঁচে আছি মানুষ খুনের রাজনীতি করতে দেব না।” তবে ঘাটাল লোকসভায় ঘাটালবাসী এখনও পথ চেয়ে বসে আছেন কবে জলদুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন। কবে হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান? প্রতিবছরই ভোটের আগে রাজনৈতিক নেতাদের মুখে শোনা যায় সেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কথা। ভোট পেরোলে বর্ষায় ভাসতে হয় ঘাটালবাসীকে। ডুবে যায় রাস্তাঘাট, বাড়ি। দুর্ভোগের যেন শেষ থাকে না! সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেও বলে গিয়েছেন দেব জিতলেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরু হবে।
তবে তিন-চার বছর লাগবে তা সম্পূর্ণ করতে। এদিন অভিষেক বলেন, দীপক অধিকারী জিতলে ছয় মাসের মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হবে। দীপক অধিকারীর হাত ধরেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরু হবে।” তবে এবারের ভোট শুধু বিজেপিকে পরাজিত করা নয়, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং প্রতিশোধের ভোট বলেও জানিয়ে দেন অভিষেক। তিনি বলেন, “শুধু বিজেপিকে পরাজিত করা কাজ নয়। যারা ১০ বছর আগে আচ্ছে দিনের নামে বাংলার ১০ কোটি মানুষকে নিপীড়িত, বঞ্চিত, লাঞ্চিত, শোষিত করে রেখেছিল, তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার ভোট। প্রতিবাদের ভোট, প্রতিরোধের ভোট, প্রতিশোধের ভোট।
আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে এবারেও সেরা দশে পূর্বের ৭ পড়ুয়া, পড়ুন বিস্তারিত
আরও পড়ুন : “আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের চাবিকাঠি”! ঝাড়গ্রামে মাধ্যমিকে প্রথম অন্বেষার লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ারিং
সাংসদ দীপক অধিকারী দিল্লিতে সরব হওয়ার পরও ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান সহ গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজ, বাড়ি, রাস্তা সর্বত্র জনকল্যাণমূলক টাকা কেন্দ্র সরকার আটকে রেখেছে।” তবে তৃণমূল যতদিন থাকবে ততদিন লক্ষীর ভান্ডার চালু থাকবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি চাইলেও বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন অভিষেক। রাজনৈতিক মহলের ধারণা এই লক্ষ্মীর ভান্ডারকে কেন্দ্র করেই ২০২১ এর বিধানসভায় ব্যাপক আসনে জয় লাভ করেছিল তৃণমূল। ফলে সেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা এবারে দ্বিগুণ করেছে রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পকে হাতিয়ার করেই ভোটের ময়দান কাঁপাতে চলেছে তৃণমূল। তবে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বন্ধ করার বক্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন অভিষেক।
তিনি বলেন, “কোচবিহারের এক বিজেপি সভানেত্রী বলেছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে আগামী তিন মাসের মধ্যে।যতদিন তৃণমূল আছে, লক্ষ্মীর ভান্ডার সবাই পাবে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর, রাষ্ট্রপতি চাইলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে দেব না।” সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মহিলাদের অপমান করেছে বিজেপি। তাদেরকে ভোটের মাধ্যমে জবাব দেওয়ারও বার্তা দিয়েছেন তিনি। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সম্পর্কে এদিন অভিষেক বলেন, “বিজেপির প্রার্থী পয়সা কামাতে এসেছে। কাজ নেই তাঁর। কোন সিনেমা চার বছরে বেরোয়নি। অথচ দীপক অধিকারী বছরে তিনটে করে সিনেমা করছে।”
এবার ভোটে লাইনে দাঁড়িয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী পাল্টানোর জন্য কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন। বিজেপির প্রতিটা বুথে মদের খরচ ৫ হাজার টাকা করে এসেছে বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “এলাকায় দেখবেন পাড়ার কোনো ভদ্রলোক, শিক্ষিত লোক, বিজেপি করে না। সব চোর-ছ্যাচ্চর, পাতাখোর, মদখোর, বদমাশ, চিটিংবাজ, ডাকাত সব বিজেপি।” ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান, লক্ষ্মীর ভান্ডারের গ্যারান্টি দিয়ে অভিষেক বলেন, “মোদিজীর গ্যারান্টি গরিব মানুষকে বঞ্চিত করার, তপশিলীদের উপর অত্যাচার করার। বিজেপি-সিপিএমকে কেশপুর থেকে তাড়ানোর গ্যারান্টি নিতে হবে। কেশপুরে এক লক্ষের বেশি ভোটে লিড দেওয়ার জন্য কর্মী সমর্থকদের জানান।
আরও পড়ুন : জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম মেদিনীপুর মিশন গার্লসের তনুকা
আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে জেলায় প্রথম মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের কৌস্তভ , প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Lok Sabha Election
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper