elephant attack
আরও পড়ুন ঃ–পশ্চিম মেদিনীপুরে মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির
পত্রিকা প্রতিনিধি : হাতির হানায় পর পর তিন দিনে ঝাড়গ্রামে তিনজনের মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বন দফতরের বিরুদ্ধে। বেশ কিছু দিন ধরেই ঝাড়গ্রামের গড় শালবনী, নেদাবহড়া, সাপধরা, আগুইবনি, মানিকপাড়া এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দাঁতাল হাতি। বাগে আনতে ব্যাপক হিমশিম খাচ্ছে বন দফতর। গ্রামের ভেতরেও ঢুকে পড়ছে হাতি। বাড়ি ভাঙার পাশাপাশি ঘটে চলেছে একের পর এক হাতির হানায় জখম বা মৃত্যুর ঘটনা।
রবিবার বরিয়া গ্রামের এক ব্যক্তির, সোমবার এক বনকর্মীর পর মঙ্গলবারও হাতির হানায় মৃত্যু হলো এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঝাড়গ্রামের পুকুরিয়ার বেনীপুরের জঙ্গলে। মৃত ব্যক্তির নাম মুচিরাম খিলাড়ী (45)। ঝাড়গ্রামের পাথরচাকড়ী গ্রামে বাড়ি। স্থানীয়রা জানান, সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফেঁকো হাটে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। হাট থেকে জঙ্গল পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় হঠাৎ হাতির সামনে পড়ে যান। শুঁড়ে ধরে আছাড় মারে। খবর পেয়ে বন দফতরের লোকজন জখম অবস্থায় উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যু খবর পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।
অন্যদিকে পরপর তিনদিনে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন হাতি থাকলেও বন দফতর অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করেনি বলেও অভিযোগ। এক বনকর্মী বলেন, ‘হাতি তো মানুষ নয় যে বললেই চলে যাবে। তাকে তার মতো করে নিয়ে যেতে হয়। বেশি জোর সৃষ্টি করলেই বিপদ ঘটতে পারে।’ বন দফতরের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের সচেতন করা এবং হাতি দেখতে পেলে তৎক্ষণাৎ বন দফতরে খবর দেওয়ার প্রচার কর্মসূচী চালানো হচ্ছে জেলা জুড়ে। হাতির গতিবিধির ওপর বনকর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছে বলে জানা যায়। কিন্তু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দলছুট দাঁতালরা বনকর্মীদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়ছে গ্রামের ভেতর।
স্থানীয় বাসিন্দা শিব শংকর দাস বলেন, বন দফতর নজরদারি চালাচ্ছে এবং সচেতন করছে। কিন্তু দলছুট দাঁতাল হাতি কখন কোন দিক থেকে হঠাৎ গ্রামের মধ্যে খাবারের জন্য ঢুকে পড়ছে কেউই বুঝতে পারছে না। আর তখনই দুর্ঘটনা ঘটছে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Elephant attack
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore