Comment by Kanishka
Comment by Kanishka
আরও পড়ুন ঃ-শুভেন্দুর সঙ্গে একই মঞ্চে বিজেপি নেতা, খুব শীঘ্রই কি যোগদান পদ্মে ? রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে
পত্রিকা প্রতিনিধি: রাজ্য রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারী রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে চলছে জল্পনা। তিনি তৃণমূলে থাকবেন নাকি অন্য কোন দলে যোগদান করবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। যদিও শুভেন্দু অধিকারী নিজে থেকে এখনো স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দাদার অনুগামীরা ইতিমধ্যে খুলে ফেলেছেন দাদার অনুগামী সহায়তা কেন্দ্র।সেই মতো বাম বিরোধী আন্দোলনের শক্ত মাটি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা শহরে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে দাদার অনুগামী কার্যালয়ের উদ্বোধন হল সোমবার। এদিন ফিতে কেটে এগরা শহরে দাদার অনুগামী সহয়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন অনুগামী কনিষ্ক পন্ডা।কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অনুগামী জয়ন্ত সাহু , বীরেন নায়েক সহ অন্যান্য অনুগামীরা। এদিন অনুগামী কনিষ্ক বলেন ,শুভেন্দু অধিকারী বলে কোনো পার্টি কোথাও ছিল না ।আমরা যারা তৃণমূল করতাম, আমাদের তৃণমূলের পার্টি অফিস শুভেন্দু অধিকারী সমস্ত জায়গায় করে দিয়েছেন।যাতে পার্টির কাজকর্ম সুষ্ঠ ভাবে চলতে পারে এবং মানুষকে সঠিক সহয়তা প্রদান করা যায় সেই জন্য এই অফিস।দিদি আমাদের বলেছে আমাদের পার্টি হচ্ছে ত্যাগের প্রতীক। তাই আমরা ত্যাগের রঙ ব্যবহার করছি।শুভেন্দু অধিকারী প্রতিদিন নিজের গতি পরিবর্তন করছে বলে তৃণমূল সরকার এসেছে।তাছাড়া তিনি যদি একই গতিতে চলতেন তাহলে নন্দীগ্রাম না হলে সরকার আসতো না।নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মাটি।সেই মাটি দেখিয়েছিল পরিবর্তন কাকে বলে।আমরা প্রথম থেকে কংগ্রেস করতাম, সেই কংগ্রেস থেকে আমরা তৃণমূল তৈরি করেছি।আর সেই দল দিদির নামে রেজিস্ট্রেশন।আর সেই দলে দিদির ভাইপো উত্তরাধিকারী। সেক্ষেত্রে দল যখন আমাদের চ্যাপ্টার ক্লোজ করে দিয়েছে।সুতরাং সেখান থেকে আমাদের আর পথ চলার কি বা আছে।আমাদের পথ আমাদের চলতে হবে।কারন আমরা মানুষের জন্য কাজ করি।আমরা প্রান দিতে প্রস্তুত ছিলাম, প্রান যেত আমাদের।আমরা চেষ্টা করেছিলাম দীর্ঘ বাম শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করতে।
দিদি যখন কংগ্রেসে থেকে যুব দায়িত্বে ছিলেন তখন তিনি ক্ষমতার দম্ভে জোর করে কংগ্রেসকে ভেঙে তৃণমূল করেছিলেন।আর তখন আমরা দিদির সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলাম।দিদি তখন ছিলেন মানুষের দিদি, মাটির দিদি,দিদির গতিপথ ছিল আন্দোলন।আর এখন সেই পার্টি আর নেই।তিনি এখন তার পার্টিকে কোম্পানিতে দিয়েছেন।যে দলের ভেতরে গনতন্ত্র নেই , সে দল বাংলায় কি গনতন্ত্র আনবে। তিনি আরও বলেন, কনিষ্ক পন্ডাকে তৃণমূল কংগ্রেস আমাকে লাথি মারলে আমি আঘাত পেতাম,লাথি আমাকে মারেনি।লাথি মেরেছে বাংলার মানুষকে। তাছাড়া আগামী ১০ দিনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাইন বোর্ড ধরার জন্য লোক পাওয়া যাবেনা।তাছাড়া এই ভাঙন যখন ধরবে তখন বাড়িঘর ও কালিঘাটের টালির বাড়িরও ভেঙে যাবে।আমরা সব বাংলার জন্য লড়াই করবো, আমরা সব সময় লড়াইয়ের মাঠে আছি।
২১ শে সেই লড়াই সমাপ্ত হবে যখন আমরা দিদিকে নিচে নামিয়ে সরকার গঠন করতে করবো।সেটা হবে ত্যাগের প্রতীক, গেরুয়া ঝড়।তাছাড়া একদিন দেখবেন কম্বলের সুতো বাজতে বাজতে দেখবেন সুতোটাই নেই। দিদি আগে শুভেন্দুর চোখ দিয়ে দলকে দেখতেন ।এখন তিনি পিকের চোখ দিয়ে দলকে দেখছেন।তাছাড়া আমরা গরু ঠাকুর হিসেবে প্রনাম করি।আর সেই গোরু বেচা টাকায় দল চলবে ,এ দলে থাকলে লজ্জা ও পাপ।তাই এই লজ্জা ও পাপ থেকে মুক্তি পেতে চাই ।তাই তৃণমূল কংগ্রেস আমাকে মুক্তি দিয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীর সবয়কিছুই ঢপের চপ।যে বাঙালিকে সম্মান দেয় না,যে নাড্ডাকে আক্রমণ করে, আসতে দেয়না।ভারতের কাছে গোটা চ্যানেল দেখছে। বাঙালার মানুষ কিভাবে গনতন্ত্রকে হত্যা করছে।তাছাড়া দিদির দলেই গনতন্ত্র নেই, দিদি পিকে’কে নিয়ে চলছে।এখন তৃণমূলটাই লাটে উঠে গেছে।
অনুগামী জয়ন্ত সাহু বলেন, এই কার্যালয় ছিল নিজের সহায়তা কেন্দ্র অর্থাৎ নিজের নামেই নেওয়া।আমি যখন শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলাম তখন এলাকার সব মানুষেরা আসতো আমরা কাজে সহায়তা নিতে।আজকের দিনে নতুন রঙ করে দাদার অনুগামী সহয়তা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।দাদা আমাদের হৃদয়ে আছেন,পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি কোনায় কোনায় তিনি আছেন। তাই এগরা শহরে দাদার একটি ছোট্ট সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তোলা হল। আর এই সহায়তা কেন্দ্র থেকে মানুষ তার এলাকার এবং তার নিজস্ব সমস্যার সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Comment by Kanishka
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore