ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির পার্টি অফিসে যোগদান করেন তৃণমূলের ৩ পঞ্চায়েত সদস্য। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই ভোলবদল করে তৃণমূলের হয়েই বোর্ড গঠনে অংশ নিলেন তারা। এই নাটকীয় চিত্র দেখা গেল মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতে। সকাল থেকে উত্তেজনা ছিল এলাকায়। মোতায়েন ছিল গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
মণিদহ পঞ্চায়েতে ১৭ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল দশটি ও বিজেপি সাতটিতে জয় লাভ করে। প্রধানের আসন সংরক্ষিত রয়েছে। এই নিয়ে বৈঠকও হয়েছে তৃণমূলের অঞ্চল নেতৃত্বের মধ্যে। সেখানে সিপিএমের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কানাই হেমরমের নাম প্রধান হওয়ার জন্য প্রস্তাব করে। ফলে দ্বিতীয়বার প্রধান হওয়ার আশাও জেগে ছিল প্রাক্তন সিপিএমের প্রধান কানাই বাবুর। কিন্তু বোর্ড গঠনের চব্বিশ ঘন্টা আগে দলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জানতে পেরে তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয়।
Medinipur Sadar
অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে কানাই হেমরম, স্বপন দাস, শকুন্তলা দোলই তৃণমূলের ৩ পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগ দিয়ে কানাই বাবু জানিয়েছেন, “দলে মর্যাদা নেই, দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই কেন্দ্র সরকারের উন্নয়নে সামিল হতে বিজেপিতে যোগদান করেছি।” তিনি এও বলেন, “বিজেপির বোর্ড গঠন হবে এবং তিনি প্রধান হবেন।” তার কয়েক ঘণ্টা পরই তৃণমূলের হয়ে সমর্থন করলেন ওই তিন পঞ্চায়েত সদস্য।
যদিও বিজেপির অভিযোগ তাদের জোর করে পুলিশ গাড়ি থেকে নামিয়ে তুলে নিয়ে গেছে। বিজেপির ব্লক সভাপতি সুজিত জানা বলেন, “আমরা যখন মেদিনীপুর থেকে গাড়িতে করে বোর্ড গঠনে অংশ নেওয়ার জন্য আসছিলাম, সেই সময় কনকাবতীতে পুলিশ আমাদের গাড়ি থামিয়ে স্বপন দাস এবং কানাই হেমরমকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পুলিশের নিয়ে চলে যায়। এবং শকুন্তলা দোলইকে চিনতে না পারায় সে আসতে পেরেছিল।”
আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রামে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় কুড়মি নেতারা, এবার কি মিটবে কুড়মি জট ?
আরও পড়ুন : পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপিকা সহ চালকের
তবে শকুন্তলা বিজেপির সঙ্গে মিছিলে কিছুটা হাঁটার পরেই ভোলবদলে দেন। তিনি আর বিজেপির হয়ে বোর্ড গঠনে অংশ নিতে রাজি হয়নি। বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া দেরি হচ্ছে বলে বাইরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতাকর্মীরা। পঞ্চায়েত অফিসের গেটে তালা লাগাতেও তারা উদ্যত হয়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ঠেলাঠেলি বেঁধে যায়। পরে পুলিশের গাড়িতে করে পঞ্চায়েতে অফিসে পৌঁছায় বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য। অবশেষে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল।
পঞ্চায়েত অফিস থেকে বেরোনোর সময় কানাই হেমরম বলেন, “একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।” পরে পুলিশের গাড়িতেই মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান হয়েছেন তৃণমূলের জ্যোৎস্না হেমরম এবং উপপ্রধান নির্মল মাঝি। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান হয়েছেন সুখেন্দু জানা, উপপ্রধান কবিতা সিং। চাঁদড়াতে প্রধান ফাল্গুনী দে, উপপ্রধান তারকনাথ বেরা ধেড়ুয়াতে প্রধান জয়ন্তী চালক, উপপ্রধান কৌশিক মাহাত।
আরও পড়ুন : স্নান করতে নেমে ক্ষীরপাই কেঠিয়া নদীতে তলিয়ে নিখোঁজ ঘাটালের স্কুল পড়ুয়া
আরও পড়ুন : বিজেপির ঘাটাল-মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলার তিন সভাপতিকেই পূনর্বহাল রাখলো রাজ্য বিজেপি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Medinipur Sadar
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper