Jhargram
আরও পড়ুন ঃ-সবংয়ে এবার দমকল, পুরুলিয়া থেকে উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর
পত্রিকা প্রতিনিধি : সপ্তম জঙ্গলমহল উৎসব শুরু হলো বুধবার থেকে । পুরুলিয়া থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল মেলার উদ্বোধন করেন । ঝাড়গ্রাম এই মেলার সূচনা করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন জেলাশাসক আয়েষা রানি, জেলাপরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বা্ প্রাক্তন সাংসদ উমা সরেন, তিন বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো ।দুলাল মুর্মু ও নগেন্দ্রনাথ মুর্মু ,ছত্রধর মাহাতো প্রমুখ। সারা মাসব্যাপী জঙ্গলমহলের বিভিন্ন লোকশিল্পীরা তাদের শিল্পকলা প্রদর্শন করেন ।সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে স্টলের পাশাপাশি গ্রামীণ হাট রয়েছে। জেলা প্রাঙ্গণে সেখানে স্থানীয় কুটিরশিল্পের সোমবার তুলে ধরা হয়েছে স্টলে। আট দিন ধরে চলবে এই মেলা ।
এদিন ঝাড়গ্রাম শহরের ননীবালা বিদ্যালয়ের মাঠে সপ্তম বর্ষে জঙ্গলমহল উৎসবের সূচনা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছোট একটি বোমা ফেটে ছিল তাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দৌড়ে ছিলেন । এখানে অনেকে আছে যারা নিজেদের বীরপুরুষ বলে জাহির করছেন। বলছেন পরিবর্তনে আমরা সহপাঠী ছিলাম, ভুল কথা আসল বীর এখানকার সাধারণ মানুষজন। তারাই পরিবর্তন ঘটিয়েছেন । তাঁরাই পরিবর্তনে সামিল হয়েছেন ।তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন শিক্ষামন্ত্রী জঙ্গলমহলের মানুষদের বীরের সম্মান দেন । জঙ্গলমহল উৎসব ও জেলাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর এক উৎসবের মেজাজ তৈরি হয় পশ্চিমাঞ্চলের অন্তর্গত চব্বিশ টি ব্লকের শিল্পীরা এই উৎসবে শামিল হন। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ধামসা, মাদল সহ অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র। উৎসবে রয়েছে একটি কারিগরি হাট বিয়াল্লিশ টি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের স্থল কুড়িটি খাবারের দোকান এছাড়া পাঁচটি জেলার পর্যটন বিষয়ক শিশুর জিত স্টল রয়েছে এর সঙ্গে রয়েছে প্রতিদিন তিনজন মনীষীদের ওপর লেজার তো সবমিলিয়ে করোনা পরবর্তী মানুষ ভয় ভীতি কাটিয়ে আসেন উৎসব প্রাঙ্গনে।
অপরদিকে জঙ্গলমহল উৎসবে আমন্ত্রণ মেলেনি ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুমার হেমব্রমের । বেজায় ক্ষুব্ধ তিনি । রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে সাংসদ বলেন, ” আমন্ত্রণ জানানো হয়নি আমাকে ইচ্ছে হয়েছিল তাই এসেছিলাম সরকার কিংবা রাজ্য সরকার কারও সৌজন্য নেই এ নিয়ে দুঃখ রাগ কিছুই নেই ।”জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধনের আগেই অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে পৌঁছান কুণার হেমব্রম। সেখান থেকেই উদ্বোধনের আগে অনুষ্ঠানের সামান্য কিছু অংশ দেখেন মাত্র ত্রিশ মিনিট পর অনুষ্ঠান স্থল ছেড়ে চলে যান । তবে তখনও উৎসবের সূচনা হয়নি স্থানীয় সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও আমন্ত্রণ না পেয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ কুনার হেমব্রম।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Jhargram
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore