Corruption
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: একুশে বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে তৃণমূল (TMC) সরকার ক্ষমতায় এলেও একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল।পঞ্চায়েতের ক্ষমতা পেতে অনাস্থা প্রস্তাবের বাড়বাড়ন্তে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ টানাপড়েনের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। আর এহেন অবস্থায় তৃণমূল পরিচালিত গ্ৰাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূলেরই উপ-প্রধান। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের সাহাড়া পঞ্চায়েতের ঘটনা।
আরও পড়ুন:- ডিজেল কিনতে হিমশিম, কেরোসিনে মোবিল মিশিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে চলছে বাস
আরও পড়ুন:- বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় বনধের প্রভাব তেমন পড়ল না ভগবানপুরে , সচল জনজীবন
আর এই ঘটনার জেরে বেকায়দায় রাজ্যের শাসকদল। সাহাড়া পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মিলন কুমার দে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান শান্তি লতা দাস এবং তাঁর স্বামী প্রভুপদ দাস(পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ)-এর বিরুদ্ধে দুর্ণীতি , স্বেচ্ছাচারিতা এবং পঞ্চায়েতের পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণের বিরুদ্ধে সরব হন।অভিযোগ , পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি ও পঞ্চায়েতের উন্নয়ন কাজকর্মে বাধা দেয়। এমনকি এবিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান ও পূর্ত সঞ্চালক এবং অন্যান্য সদস্যরা প্রতিবাদ জানালে তাদের প্রাণ নাশের ও আইন পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ।
Corruption
আরও পড়ুন:- প্রাথমিকে বিদ্যালয় খোলার দাবিতে মেদিনীপুরে বিক্ষোভ বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির
পাশাপাশি পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কাজে বাধা সৃষ্টি করে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামী। কেউ কেউ বলছে যেন গ্ৰাম পঞ্চায়েতটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারা ব্লকে কাজের নিরিখে সাহাড়া গ্ৰাম পঞ্চায়েত সবদিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার সাহাড়া পঞ্চায়েতের সাধারণ সভা আয়োজিত হলেও ব্রাত্য খোদ পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান , সঞ্চালক ও পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরা। এক্ষেত্রে উঠছে একাধিক প্রশ্ন ? প্রশ্ন যে সাধারণ সভায় কেনই বা পঞ্চায়েতের সদস্য-সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কিভাবে তাদের ছাড়া এই সাধারণ সভা আয়োজিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরে সাংগঠনিক জেলা কমিটি গঠন এসইউসিআই-এর
আরও পড়ুন:- ফের মেদিনীপুর শহরে শ্রমিকের বেশে আন্দোলন চাকরি প্রার্থীদের
তবে এক্ষেত্রে কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শান্তিলতা দাস-এর দাবি, উপ-প্রধান, সঞ্চালক ও পঞ্চায়েত সদস্যদের সাধারণ সভাতে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা আসেনি। তারা পঞ্চায়েতের কোনো সভায় উপস্থিত হননা। পাশাপাশি পঞ্চায়েতের উন্নয়ন মূলক কাজ করতে দিচ্ছে না। তবে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মিলন কুমার দে অবশ্য জানিয়েছেন, অর্থ উপ-সমিতির সভা না করে কিভাবে সাধারণ সভা আয়োজনের নামে মনগড়া , অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করে প্রধান পঞ্চায়েতের নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠা করছেন ।
Corruption Corruption
আরও পড়ুন:- ” ওঁর চলে যাওয়া নক্ষত্রপতন” , সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন শিশির অধিকারীর
আরও পড়ুন:- পূর্ব মেদিনীপুরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পটাশপুর থানার পুলিশ কর্মীর
পঞ্চায়েতের সভায় টেন্ডার সভার সম্মতি না নিয়ে কি ভাবে প্রধান কাজের টেন্ডার মঞ্জুর করতে পারে – তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন খোদ পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান , সঞ্চালক ও অন্যান্য সদস্যরা। তারা জানাচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধানের যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ বেআইনি। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান শান্তিলতা দাস । তিনি বলেন , উপ-প্রধানের সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি আমাদের সঙ্গে উন্নয়নের কাজে সহমত না হয়ে পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছেন।কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মিলন কুমার দে ও সঞ্চালক উত্তম কুমার জানা বলেন , প্রধানের ভুরিভুরি দুর্ণীতি রয়েছে।
আরও পড়ুন:- খড়্গপুরে মূক বধির নাবালিকাকে দফায় দফায় ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার যুবক
উনি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের সবক্ষেত্রেই অগণতান্ত্রিক কাজকর্ম করে চলেছেন। এবিষয়ে বারবার বিডিও ও জেলাশাসককে জানিয়েও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। এবিষয়ে এগরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমিও রাজ বলেন, ইতিমধ্যে এই ঘটনা নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে একটি অভিযোগ পত্র জমা পড়েছে। বিডিও সঙ্গে আলোচনা করে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে এগরা ১ ব্লকের বিডিও সুমন ঘোষ -এর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Corruption
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Although the Trinamool (TMC) government came to power in the state in the Ekushey assembly elections, the Trinamool (TMC) factional strife has been seen in several places. In such a situation, the deputy head of the Trinamool is vocal against the head of the Trinamool-run gram panchayat. The incident of Sahara Panchayat in Egra 1 block of East Midnapore district.
And because of this incident, the ruling party of the state is in disarray. Sahara Panchayat Deputy Chief Milon Kumar Dey spoke out against corruption, arbitrariness, and partisan behavior of the panchayat against Shanti Lata Das and her husband Prabhupada Das (Chief Executive Officer) of the panchayat. Hinders development work. Even the deputy chief and public works director of the local panchayat and other members protested and warned to kill them and take legal action.
Besides, the local panchayat chief and her husband obstructed the development work of the panchayat. Some say that the gram panchayat has become their ancestral property. Sahara Gram Panchayat is lagging behind in terms of work in the entire block. It is to be noted that although the general meeting of Sahara Panchayat was held on Monday. The deputy head, director, and other members of the panchayat were also present. In this case, more than one question? The question is why the members of the panchayat were not invited to the general meeting. How this general meeting is being held without them.
However, in this case, the local panchayat chief Shantilata Das demanded that the deputy chief, the moderator and the panchayat members are invited to the general meeting but they did not come. They do not attend any meeting of the panchayat. Besides, it is not allowing the development work of the panchayat. However, Milon Kumar Dey, deputy chief of the local panchayat, said that he was establishing anarchy in the chief panchayat by taking fabricated, undemocratic, and arbitrary decisions in the name of holding a general meeting without holding a meeting of the finance sub-committee.
After that, the deputy head, the moderator and other members of the panchayat themselves are questioning how the tender for the main work can be approved without the consent of the tender meeting. They are saying that all the activities of the panchayat head are completely illegal. However, Trinamool panchayat chief Shantilata Das has denied all the allegations. He said all the allegations of the deputy chief were completely false and baseless. Because of that, he is not agreeing with us. The development work and is obstructing the development work of the panchayat.
Despite repeatedly informing the BDO and the district magistrate about this, no solution has been found so far. As a result, in this regard, the president of Egra 1 Panchayat Samiti Amio Raj said, a complaint letter has already been submitted to the Panchayat Samiti about this incident. As a result, Necessary action will be taken after investigating the incident in consultation with BDO. On the other hand, BDO Sumon Ghosh of Egra 1 block was contacted on the phone. To know the details but no response was received from him.