Home » অধিকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছি, এবার জেলার উন্নয়নে সবাই লড়বঃ অখিল গিরি

অধিকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছি, এবার জেলার উন্নয়নে সবাই লড়বঃ অখিল গিরি

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

District development

আরও পড়ুন ঃ-খড়্গপুর রেলস্টেশনে করোনা পরীক্ষা রেল যাত্রীদের, পজিটিভ ৩ জন

পত্রিকা প্রতিনিধিঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর বিধানসভার চার বারের বিধায়ক। তবে অবিভক্ত মেদিনীপুরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম দিকের সৈনিক হিসেবে বরাবরই তিনি আস্থার পাত্র। তবে এতদিন অধিকারীদের দাপটে পূর্ব মেদিনীপুরে দলীয় রাজনীতিতে যেন কিছুটা কোণঠাসা ছিলেন অখিল গিরি। এবার তৃণমূলের রাজনীতিতে অধিকারী পরিবার ওজন হারাতেই মন্ত্রী হলেন রামনগরের এই বিধায়ক । এবার বিজেপি বিরোধিতার সঙ্গে অধিকারী পরিবারের বিরোধিতাও করেছেন জমিয়ে। তাই অধিকারীরা দল ছাড়তেই তাঁকে সামনের সারিতে নিয়ে আনেন মমতা। শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পরও পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের যে ক্ষয় রোধ করা গিয়েছে তার কৃতিত্বের অনেকটাই প্রাপ্য অখিলবাবুর। তার ‘পুরস্কার’ও মিলেছে।

‘মা মাটি মানুষ’-এর সরকারে মন্ত্রিসভার স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত মৎস দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন রামনগরের এই বিধায়ক। তবে তার পর থেকেই প্রচুর শুভেচ্ছা বার্তা পাচ্ছেন চার বারের বিধায়ক ও প্রথমবার মন্ত্রী হওয়া অখিলবাবু। আর তারপরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান , শুধু বিজেপি নয়, এবারের লড়াই ছিল অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধেও। আর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তিনি আরও বলেন , “আমার উপর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে আস্তা রেখেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই জেলায় শুরু থেকেই রাজনৈতিকভাবে অধিকারীদের বিরুদ্ধে একটা ঠান্ডা লড়াই চালিয়েছি। যা আগামীদিনেও চলবে।” তবে এই লড়াইয়ের পথে উন্নয়ন থামবে না বলেও জানান তিনি। শুভেন্দু প্রসঙ্গ উঠতেই অখিল গিরির সপাট প্রতিক্রিয়া, “বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা করা হয়েছেন শুনেছি। নীতি-আদর্শের লড়াই হবে বিধানসভায়।” কিন্তু জেলার রাজনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে অন্য কোনও কাজ মিশবে না বলে দাবি তাঁর। অখিল গিরির কথায়, মৎস্য দফতরের অনেক কাজ। সেই দফতরের কাজ মিটিয়ে জেলার রাজনৈতিক বিষয়ে নজর দেব।” তিনি আরও জানান, করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাদবাকি কাজও সমানতালে চলবে। জেলা ও রাজ্যের মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে তাঁর বিশেষ লক্ষ্য। তবে সমুদ্র বন্দর অধ্যুষিত এলাকায় মৎস্য দফতরের মাধ্যমেই সেই কাজ অনেকটা হবে বলে দাবি করেন তিনি।

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

District development

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.