Home » জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার দশ বছর পূর্ণ, মৃত ২৩জনের পরিবারকে শংসাপত্র দেওয়ার দাবি

জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার দশ বছর পূর্ণ, মৃত ২৩জনের পরিবারকে শংসাপত্র দেওয়ার দাবি

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

পত্রিকা প্রতিনিধিঃ গত ২০১০ সালের ২৮ মে রাতে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। বৃহস্পতিবার পূর্ণ হল ১০ বছর। ঐ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৪৮ জন রেলযাত্রীর। ঐ দিন গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের সরডিহার রাজবাধ এলাকায় লাইচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটে হাওড়া থেকে মুম্বাইগামী জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের। ১৪৮জনের মৃত্যু ছাড়াও জখম হয়েছিলেন অনেকেই। ঐ রেলের চালকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা শুরু করে। পরে তদন্তের দায়িত্বভার নেয় সিবিআই। গ্রেফতার করা হয় ২০জনকে। ২জন জামিন পেলেও এখনও ১৮জন জেলবন্দী। এখনও মামলা চলছে মেদিনীপুর আদালতে। এক মালগাড়ির মুখোমুখি এই দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, মাওবাদীরা আপ লাইনের প্যনড্রোল ক্লিপ ও ফিসপ্লেট খুলে দিয়ে এই নাশকতা ঘটিয়েছে। সরকারের কাছ থেকে মৃতের পরিবার আর্থিক সাহায্য পেলেও অনেকেই রয়েছেন যারা এখন মৃত্যু শংসাপত্র পাননি। মৃতের পরিজনদের আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভকত বলেন, ১৪৮জন যাত্রীর মধ্যে এখনও ২৩ জন মৃত্যুর শংসাপত্র পাননি। ১০বছর পর হলেও এখনও ঘটনাস্থলের সামনে পড়ে রয়েছে ট্রেনের কামরার অংশ। দশ বছর আগের ওই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনও চমকে উঠতে হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় আহতদের। মৃতদেহগুলি আনা হয় ময়না তদন্তের জন্য। মৃতদের রাখার জায়গা হয়নি মর্গে। গাদাগাদি করে রাখতে হয়েছিল। মৃত ও আহতদের স্বজনদের কান্না আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এক সঙ্গে এত লাশ দেখে আঁতকে উঠেছিলেন সকলেই।

তীর্থঙ্কর বাবু বলেন, মৃত ২৩জনের পরিবার এখনও মৃতদেহ শংসাপত্র পায়নি। তার ফলে মৃত্যুজনিত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বা পরিবারের কেউ রেলের চাকরি পাননি। অবিলম্বে জেলা প্রশাসন যাতে এই সব পরিবারকে স্বজন বিয়োগের মৃত্যুর  শংসাপত্র দেয় তার দাবি জানিয়েছেন তীর্থঙ্কর বাবু।

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.