ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : বৃক্ষ রোপণ আন্দোলনের ডাক দিয়ে বনমহোৎসব পালিত হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। যে আন্দোলন কচিকাঁচা থেকে কৃষকের কাছ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। শুক্রবার জেলার ভাদুতলা হাইস্কুলে পদযাত্রা ও চারা গাছ লাগিয়ে উদ্বোধন হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বনবিভাগের বনমহোৎসব। উদ্বোধন হয় প্রচার ট্যাবলোর।
উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া, প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, জেলা শাসক আয়েশা রানি, বিধায়ক উত্তরা সিংহ হাজরা, জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ, মুখ্য বনপাল (পশ্চিম চক্র) অশোক প্রতাপ সিং সহ বন দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট কুড়ি লক্ষ চারা গাছ লাগানো হবে। তার মধ্যে সাধারণদেরও বিতরণ করা হবে। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, গাছের প্রতি যত্ন নিয়ে বড় করতে হবে এমনই বার্তা দিলেন জেলা শাসক আয়েশা রানি।
বনমহোৎসব উদ্বোধনে লাগানো গাছগুলি কেমন রয়েছে তা দেখতে কয়েক মাস পর আবার ওই বিদ্যালয়ে যেতে পারেন জেলা শাসক। তিনি বলেন, “আমরা যে গাছ লাগিয়েছি সেগুলি রক্ষা করার দায়িত্ব দিয়ে গেলাম স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সহ কন্যাশ্রী ক্লাবকে।” পাশাপাশি বাড়িতে আম, কাঁঠাল খাওয়ার পর সেই বীজ রোপণেরও বার্তা দেন। প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “যেভাবে জনসংখ্যা বেড়েছে, ঘরবাড়ি বেড়েছে তাতে গাছ কাটার প্রবণতাও বেড়েছে।
তা আটকানোর চেষ্টা আমাদের সকলকে করতে হবে। কারণ গাছ না থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন বিপন্ন হবে।” তিনি উপস্থিত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের অনুরোধ জানিয়েছেন গাছের গুরুত্ব বুঝিয়ে গাছ লাগানো ও যত্নে উৎসাহিত করতে ছাত্র-ছাত্রীদের। তবে বনমহোৎসবকে আন্দোলনের রূপ দেওয়ার ডাক দিয়েছেন জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ। সেই আন্দোলন যেন কচিকাঁচা থেকে শুরু করে কৃষকদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
নেপাল বাবু বলেন, ” প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল গাছ লাগানোর। তখনকার দিনে প্রতিটি বাড়ির দেওয়ালে লেখা থাকত একটি গাছ একটি প্রাণ। রাস্তার ধারেও ব্যাপক হারে গাছ লাগানো হয়েছিল। পতিত সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি জায়গায় গাছ লাগানো হয়েছিল। পরিবর্তীকালে যে সরকার এসেছিল সেই সরকার সব ধ্বংস করে দিয়েছিল।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Tree Planting
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore