বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : সদ্যজাতকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে প্রবেশ করানোর সময় ফুটবল শর্টের মধ্য দিয়ে স্বাগত জানালেন পরিবারের সদস্যরা। ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল বাড়িতে প্রবেশের পথ। সেখানেই প্রবেশের দরজায় রাখা ছিল ফুটবল। সেই ফুটবলে শর্ট দিল সদ্যজাত! পরিবারের আশা, ছেলে যেন বড় হয়ে ফুটবলার হয়। এমন চিত্র দেখা গেল মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢড়রাশোল গ্রামে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে দেশে ফিরছেন শালবনীর গবেষক পড়ুয়া
ওই গ্রামেই বড় হয়েছে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান দলের প্রাক্তন ফুটবলার পিন্টু মাহাতো। জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কলকাতার চেনা মাঠে এক সময় দাপিয়ে বেড়িয়েছে। ডার্বিতে জোড়া গোল করে নজর কেড়েছিল জঙ্গলমহলের এই পিন্টু। বাড়িতে অভাব অনটন থাকলেও নিজের জেদ আর কঠোর পরিশ্রমে জায়গা করে নিয়েছিল মোহনবাগান ফুটবল দলে। সেই সময় ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিল। পরবর্তীকালে ইস্টবেঙ্গল দলেও যোগ দেন। সেখান থেকে নৌবাহিনীতে চাকরি পান। বর্তমানে ডায়মন্ড হারবার এফসি-র হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছে পিন্টু। গত ১৯ জুন পিন্টুর স্ত্রী অঞ্জলি দেবী পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তার নাম রেখেছেন প্রিহান। সোমবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর প্রিহানকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই প্রস্তুত পরিবার সহ গ্রামের মানুষজন। স্বাগত জানানোর ভিডিও এখন ভাইরাল। দেখা গিয়েছে, বাড়িতে প্রবেশ পথ ফুল দিয়ে সাজানো রয়েছে।

যা সাধারণত অনেক বাড়িতেই করে থাকেন। কিন্তু ব্যতিক্রমী ওই ফুলের উপরে রাখা রয়েছে একটি ফুটবল। ওই ফুটবলে শর্ট দিয়েই স্বাগত জানালেন সদ্যজাতককে। পিন্টুর দিদি সদ্যজাতককে কোলে নিয়ে সেই ফুটবলে শর্ট দেওয়া করালেন। সেই সময় মোবাইলে বেজে উঠলো পিন্টু মাহাতোর গোল করার সময়ের ধারাভাষ্যের একটি অংশ। ফুটবলে শর্ট কেন? পিন্টু বলেন, “পরিবার এবং গ্রামবাসীদের ইচ্ছে বড় হয়ে যেন ফুটবলার হয় আমার ছেলে।
আরও পড়ুন : প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় আত্মহত্যা যুবকের!

আমি ছোট থেকেই অভাবে মানুষ হয়েছি। ইচ্ছে থাকলেও ছোটো থেকে সেভাবে ফুটবলের শিক্ষা পায়নি। আমি চাই আমার ছেলে যেন বড় হয়ে ভালো মানের ফুটবলার হতে পারে।” গ্রামবাসী রামতনু মাহাত, অমিত মাহাত-রা বলেন, “আমাদের গ্রামে অধিকাংশই ফুটবলকে ভালোবাসে। গ্রামে ইস্টবেঙ্গল- মোহনবাগান দু’দলেরই সমর্থক রয়েছে। আমাদের গ্রাম থেকেই পিন্টুর উত্থান। আমরা চাই এই গ্রাম থেকে আরও অনেকে বড় ফুটবলার গড়ে উঠুক। পিন্টুর ছেলেও যেন ভালো মানের ফুটবলার হয়ে ওঠে এটাই আমাদের আশা।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Baby Footballer
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspape