পত্রিকা প্রতিনিধিঃ রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিম্নমুখী হওয়ার পর বেশকিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে বাস চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটন এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা। সেই মতো বেশ কয়েকদিন ধরে দিঘায় পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আর সেই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে দিঘায় পর্যটকদের ভিড় এড়াতে দিঘায় আগত পর্যটকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
আর সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়, করোনা টেস্টের রিপোর্ট কিংবা করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট নিয়ে দিঘায় প্রবেশ করতে হবে। তবে নির্দেশিকা মেনে বেশ কিছু পর্যটক এলেও দেখা মেলেনি বিপুল পর্যটকের । আর ফলে পর্যটন শিল্পে ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাই পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের জন্য বিধিনিষেধ সামান্য শিথিল করল জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, করোনা ভ্যাকসিনের একটি টিকা যারা নিয়েছেন, এবার থেকে তারা দিঘা সফর করতে পারবেন। তবে জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিশ্বাস পেয়েছে ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা।অপরদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আগাম কোভিড টেস্ট না করিয়ে দিঘায় এলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তা ছাড়া হাজার হাজার পর্যটক দিঘায় এসে কোভিড টেস্ট করাতে চাইলে তার বন্দোবস্ত করা অসম্ভব। অন্য দিকে হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠনের দাবি, দিঘায় র্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা করা হলেই পর্যটকদের বেড়াতে আসার আগ্রহ বাড়বে। কারণ দিঘা বেড়াতে আসার জন্য পর্যটকদের হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয়। তাই হাসপাতালে লাইন দিয়ে কোভিড টেস্ট করাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কেউ।
অপরদিকে দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘এক দিকে রাজ্য সরকার হোটেল খুলে দেওয়ার ঘোষণা করলেন। আবার অন্য দিকে পর্যটকদের কোভিড টেস্ট করাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এতে সমস্যা হচ্ছে মালিকদের।’’