Ship to Ship
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: হলদিয়া বন্দরের ইতিহাসে এই প্রথম মাঝসমুদ্রে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে ‘শিপ-টু-শিপ’(এসটিএস) পদ্ধতিতে এলপিজি অপারেশন শুরু হল। এরআগে হলদিয়ার অদূরে মাঝসমুদ্রে ট্রান্সলোডিং পদ্ধতিতে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে বাল্ক কার্গো কয়লা বা ক্রুড অয়েলের মতো লিকুইড কার্গো হ্যান্ডেলিং হয়েছে। কিন্তু সমুদ্রের মাঝখানে জাহাজে এলপিজি হ্যান্ডেলিং এই প্রথম হল ভারতের উপকূলের কোনও বন্দরে। দাবি হলদিয়া-কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের। হলদিয়া বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় জাহাজে ভারত পেট্রলিয়াম বা বিপিসিএলের এলপিজি আমদানি করার জন্য এসটিএস পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:- ঝাড়গ্রামে রাস্তায় পড়ে থাকা দুটি সুটকেসকে ঘিরে আতঙ্ক, এলো বোম্ব স্কোয়াড
আরও পড়ুন:- বাসে মহিলা যাত্রীর কোলে শিশু কন্যাকে বসিয়ে চম্পট মদ্যপ বাবা, অবশেষে ফিরে পেলেন মা
গত ১৫ অক্টোবর ইউসান নামে একটি জাহাজে ৪৪৫৫১মেট্রিক টন এলপিজি মাধ্যপ্রাচ্য আসে হলদিয়ায়। ওই জাহাজটিকে বলা হচ্ছে মাদার ভেসেল। ওই জাহাজ থেকে হ্যাম্পসায়ার নামে একটি ডটার ভেসেলে(ছোট) ১৭ঘণ্টার মধ্যে ২৩হাজার ৫১মেট্রিক টন এলপিজি স্থানান্তর করা হয়। পরে ওই ছোট জাহাজটি হলদিয়ায় এসে এলপিজি আনলোড করে। নাব্যতা সমস্যার জন্য বড় এলপিজি জাহাজ হলদিয়া ঢুকতে না পারার জন্য বিকল্প হিসেবে এসটিএস পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়েছে। আগে অন্য বন্দরে বড় এলপিজি জাহাজ দাঁড়াত। সেখান থেকে ছোট জাহাজগুলিতে এলপিজি বয়ে আনতে ৭-৯দিন সময় নষ্ট হত।
আরও পড়ুন:- আদিবাসী নৃত্য দলের উপর গাড়ি চালিয়ে ২০ জনকে হত্যার প্রতিবাদে পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষোভ পরগণা মহলের
আরও পড়ুন:- নিম্নচাপের প্রভাবে রবি ও সোমবার ভারী বৃষ্টি, দুই মেদিনীপুরে হলুদ সতর্কতা
হলদিয়ার অদূরে মাঝসমুদ্রে এসটিএস অপারেশন শুরু হওয়ায় একদিনের কম সময়ে অপারেশন সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি আড়াই কোটি টাকা খরচ বেঁচে যাবে আমদানিকারি সংস্থার। হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা বলেন, ফেয়ার ওয়েদার অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ৪৫-৫০হাজার টনের এলপিজি জাহাজ এসটিএস পদ্ধতিতে হ্যান্ডেলিং হবে। শুধু বিপিসিএল নয়, অন্যান্য সংস্থার এলপিজিও এভাবে অপারেশন করা হবে। হলদিয়া-জগদীশপুর গ্যাস পাইপলাইন পাতা হয়ে গেলে হলদিয়া বন্দর দিয়ে এলপিজি আমদানি আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন:- দিঘায় বেড়াতে এসে হোটেলের সুইমিং পুলে ডুবে শিশুর মৃত্যু , চাঞ্চল্য এলাকায়
কলকাতা-হলদিয়া বন্দরের(শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট) চেয়ারম্যান বিনিত কুমার বলেন, এটিএস অপারেশন শীঘ্রই কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের পণ্য পরিবহন এবং অর্থনীতিতে গেম চেঞ্জার হতে চলেছে। ২০১৬-১৭সালে হলদিয়ায় ২০লক্ষ ২২হাজার টন অর্থাৎ ২মিলিয়ন টন এলপিজি হ্যান্ডেলিং হত। পাঁচ বছরের মধ্যেই তা প্রায় পাঁচ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে। ২০২০-২১সালে হলদিয়া বন্দরে ৪৮লক্ষ ৪৮হাজার মেট্রিক টন এলপিজি হ্যান্ডেলিং হয়েছে। এসটিএস পদ্ধতিতে সেই আমদানি আরও বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর সদরে বেআইনি ভাবে বালি মজুত করে পাচারের অভিযোগ, গ্রেফতার ব্যবসায়ী
আরও পড়ুন:- শনিবার রাত পর্যন্ত ১০৪ টি প্রতিমা বিসর্জন মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন নদীঘাটে, নজরদারি পুরসভা ও পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Ship to Ship
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Ship to Ship
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: This is the first time in the history of Haldia port that LPG operation has started in the Mediterranean from large ship to small ship in ‘ship-to-ship’ (STS) method. In the past, liquid cargo such as bulk cargo coal or crude oil has been handled from large ships to small ships by the method of transloading in the Mediterranean near Haldia. But this is the first time a ship has handled LPG. In the middle of the sea at a port on the Indian coast. Claim of Haldia-Calcutta Port Authority. According to Haldia port sources, the port authorities have started using the STS system to import LPG from Bharat Petroleum or BPCL on large ships.
On October 15, 44551 metric tons of LPG arrived in Haldia on a ship named Usan. That ship is called Mother Vessel. 23,051 metric tons of LPG was transferred from that ship to a data vessel called Hampshire (small) in 17 hours. Later that small ship came to Haldia and unloaded LPG. The STS method has been chosen as an alternative to prevent large LPG vessels from entering Haldia due to navigability problems. Earlier, large LPG ships used to dock at other ports. From there it would take 7-9 days to transport LPG in small ships.
The operation is being made possible in less than a day as STS operation has started in the middle of the sea near Haldia. Besides, the importing company will save Rs 2.5 crore. Amal Kumar Mehera, Deputy Chairman, Haldia Port, said that Fair Weather, i.e. 45-50 thousand tons of LPG vessels will be handled in STS system from October to March. Not only BPCL, LPG, and other companies will be operated in this way. Once the Haldia-Jagadishpur gas pipeline is completed, LPG import through Haldia port will increase further.
Binit Kumar, chairman of Kolkata-Haldia Port (Shyamaprasad Mukherjee Port), said the ATS operation would soon be a game changer in the transportation and economy of Kolkata and Haldia ports. In 2016-17, 20 lakh 22 thousand tons or 2 million tons of LPG was handled in Haldia. Five years, it has reached about five million tons. In the year 2020-21, 48 lakh 48 thousand metric tons of LPG has been handled in Haldia port. That import will be further increased through STS system.