Home » চন্দ্রকোনায় করোনা আতঙ্কে মৃতদেহ পড়ে রইল প্রায় ২০ ঘন্টা, শেষপর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে শ্মশানেই দাহকাজ সম্পন্ন

চন্দ্রকোনায় করোনা আতঙ্কে মৃতদেহ পড়ে রইল প্রায় ২০ ঘন্টা, শেষপর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে শ্মশানেই দাহকাজ সম্পন্ন

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

পত্রিকা প্রতিনিধি: করোনা আতঙ্কে ২০ ঘন্টা গ্রামে পড়ে রইল মৃতদেহ, পুলিশের হস্তক্ষেপে শুরু হলো দাহ কাজ । এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ডালিমাবাড়ি গ্রামের। জানাযায় ডালিমা বাড়ি গ্রামের অমিয় ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরে জ্বর উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন হঠাৎ সোমবার বিকেলে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বাড়িতে মৃত্যু হয় তার। এরপরে ডালিমবাড়ি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এলাকাবাসীরা জানান যেহেতু জ্বর ও শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন তাহলে আগে করোনা টেস্ট করা হোক তারপরে হবে দাহকাজ। গ্রামবাসীরা বলেন প্রশাসনকে বারবার জানিয়েছি কিন্তু প্রশাসন বা স্থানীয় নেতৃত্বের কোন পদক্ষেপ নেয়নি, তাই সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল দশটা পর্যন্ত পড়ে রইল মৃতদেহ বাড়িতেই। মৃতদেহ পড়ে রয়েছে খবর পেয়ে আসে পুলিশ, অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে দাহকাজ শুরু হলো । গ্রামের বাসিন্দাদের একটাই দাবি ছিল, যেহেতু শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মারা গেছে ওই ব্যক্তি,এবং ওই ব্যক্তির পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য শরীরে জ্বর উপসর্গ রয়েছে তাহলে হয়তো থাকলেও থাকতে পারে করোনা উপসর্গ তাই ওদের আগে শারীরিক পরীক্ষা করা হোক। অবশেষে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ এসে এলাকাবাসীদের বলেন যে মৃত ব্যক্তির করানো উপসর্গ টেস্ট করা যাবেনা তাই দাহকাজ করাতে হবে এলাকাবাসীর সাথে পুলিশ দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলে পরে শুরু হয় দাহকাজ। তাই করোনা আতংকের মাঝেই শুনশান গ্রামে মৃতের পরিবারে সদস্যরা দাহকাজ শুরু করে।পুলিশ সূত্রে খবর যারা এই দাহ কাজের সাথে যুক্ত ছিল তাদের অবিলম্বে লালা রস সংগ্রহ করে পাঠানো হবে পরিক্ষার জন্য।

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.