Shuvendu is called a traitor
আরও পড়ুন ঃ-মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পলাতক অপর বন্দী গ্রেফতার বারাসত থেকে
পত্রিকা প্রতিনিধি: শাসকের প্রতিবাদ মিছিল পরিনত শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিছিল।আর সেই মিছিল থেকে ছেঁড়া হল শুভেন্দু ফ্লেক্স।কেন্দ্র সরকারের আনা কৃষি আইনের বিরোধিতা করে দাঁতনে প্রতিবাদ মিছিল ও সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেই মিছিল ও সভা কার্যত শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগের প্রতিবাদ সভায় পরিণত হয় এদিন। রবিবার দাঁতন হাসপাতালের সামনে থেকে সরাইবাজার পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। সরাইবাজারে ছিল সভা। মিছিল থেকে রাস্তার দুপাশে শুভেন্দুর ছবি ও তাতে অসময়ের বন্ধু লেখা অনুগামীদের লাগানো ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয়। রাস্তার দুপাশে থাকা প্রায় সবকটি ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বদের দাবি, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভ ও ঘৃণা ধরা পড়েছে শুভেন্দুর দলবদলে। মানুষ মেনে নিতে পারেননি। আসলে নিজের স্বার্থের জন্যেই এত পদ পেয়েও গেরুয়া দলে গিয়ে জেল থেকে বাঁচতে হল।
“এইদিনের সভা একপ্রকার শুভেন্দুর বিপক্ষ সভায় পরিনত হয়। সভা থেকে শুভেন্দুকে ‘বেইমান’, ‘গদ্দার’, ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘নব মিরজাফর’-ও বললেন নেতৃত্বরা। এদিনের বিজেপি সরকারের কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদ সভা ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, জেলা নেতৃত্ব নির্মল ঘোষ, দাঁতন ও কেশিয়াড়ির বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান, পরেশ মুর্মু, ব্লক সভাপতি প্রতুল দাস। রবিবার বিকেলে দাঁতনে কৃষি আইনের প্রতিবাদ সভায় সকলেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর ওপর। বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান শুরুতেই শুভেন্দুকে মিরজাফর উল্লেখ করে বলেন,” টেলিভিশনে বিজেপির সভায় শুভেন্দুর ছবি দেখতে দেখতে চোখে জল আসে।
শুভেন্দুর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছি। এমন মিরজাফরের মতো কাজ করবে কেউ ভাবিনি। এখন ভাবছি কার সঙ্গে আমরা ছিলাম।” এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি শুভেন্দুকে আক্রমণ করে বলেন,” এতদিন মুর্শিদাবাদে মিরজাফর একা কবরে শুয়েছিল। একা অসম্মান নিয়েছিল। বাংলায় এবার আরও একজন এসেছে। তার নাম শুভেন্দু অধিকারী।” শুভেন্দুর অনুগামীদের নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তার বক্তব্য,” টাকা দিয়ে যাদের অনুগামী করে পেছনে ঘুরিয়েছিলেন তারাই ওর(শুভেন্দুর) পোস্টারে চুনকালি লাগাচ্ছে। এত ঘৃণা। উনি চুনকালি নেওয়ার মতো লোক।”
জেলাজুড়েই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখাচ্ছেন অনেকেই। পোস্টার, ছবি, ফ্লেক্স ছেঁড়ার মতো ঘটনা ঘটছে। দাঁতনেও শুভেন্দুর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয়। যে ফ্লেক্সে লেখা ছিল-অসময়ের বন্ধু। তৃণমূল নেতৃত্বরা জানান, দেশের কৃষকেরা আন্দোলন করছেন। সংকটে পড়েছেন কৃষি আইনের জন্য। শুভেন্দু তাদের হাত ধরল। এ কেমন অসময়ের বন্ধু শুভেন্দু !তবে প্রতিবাদ সভা থেকে শুভেন্দুর ফ্লেক্স ছেঁড়ায় শুরু নয়া জল্পনা।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Shuvendu is called a traitor
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore