ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : সম্প্রতি পৌরসভার পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার দাবি জানিয়ে অভিষেক ব্যানার্জীকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলেরই কাউন্সিলররা। এবার তৃণমূল পরিচালিত পৌর বোর্ডের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মেদিনীপুর পৌরসভার সামনেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলেন তৃণমূলেরই ১১ জন কাউন্সিলর।
পৌর বোর্ডের অসহযোগিতা ও কাউন্সিলর লিপি বিষই-এর বিরুদ্ধে মেদিনীপুর শহর জুড়ে যে পোস্টারিং শুরু হয়েছে তারই প্রতিবাদ করে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলল এই অবস্থান-বিক্ষোভ। পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান নিজে নেমে এসে সমাধানের আশ্বাস দিলে অবস্থান ওঠে। শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল বলে কটাক্ষ বিরোধীদের। কয়েকদিন ধরে মেদিনীপুর পৌরসভার সামনে ও শহরের বিভিন্ন স্থানে তৃণমূলের কাউন্সিলর লিপি বিষই-এর নামে পোস্টারিং শুরু করেছিল পৌরসভার শ্রমিক সংগঠন।
Midnapore Municipality
পোস্টারে বলা হয়েছিল, “লিপি বিষই শ্রমিক সংগঠনের উদ্দেশ্যে খারাপ মন্তব্য করেছেন, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” উল্টোদিকে লিপি বিষই সহ একদল কাউন্সিলরের অভিযোগ ছিল ৫ ডিসেম্বর মেদিনীপুর পৌরসভার সামনে আন্দোলন করার সময় শ্রমিক সংগঠনের একদল শ্রমিক লিপি বিষই সহ একদল কাউন্সিলরকে হেনস্থা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল মেদিনীপুর পৌরসভায়।
পৌরসভার পক্ষ থেকে পরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, উল্টে শ্রমিকরাই অপবাদ দিয়ে পোস্টারিং শুরু করলে ক্ষুব্দ লিপি বিষই সহ ১১ জন কাউন্সিলর মেদিনীপুর পৌরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দেন বৃহস্পতিবার। নেতৃত্বে ছিলেন মেদিনীপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাণ্ডব। তিনি বলেন, “বিক্ষোভের নাম করে তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলর ও আরও কয়েকজনকে হেনস্থা করল শ্রমিকরা। তাদের বিরুদ্ধে পৌর বোর্ড ব্যবস্থা নেবে সিদ্ধান্ত হলেও পরবর্তীকালে কিছুই হয়নি।
উল্টে সেই শ্রমিক সংগঠন অপপ্রচার করে শহরজুড়ে পোস্টারিং করল। পোস্টার দেওয়া হল খোদ পৌরসভাতেই। পৌরসভার এই অসহযোগিতা ও শ্রমিক সংগঠনের সেই হেনস্থাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এই অবস্থান আমাদের।” মেদিনীপুর পৌরসভায় মোট ২৫ টি আসন। এরমধ্যে ২০ টি পেয়েছিল তৃণমূল, সিপিআইএম পেয়েছিল ৩ টি, ১টি নির্দল ও ১টি কংগ্রেস পেয়েছিল ।
এরপর তৃণমূল পৌরসভার বোর্ড গঠন করলেও গোষ্ঠী তৈরি হয়ে যায় কয়েক মাসের মধ্যে। সম্প্রতি এই পৌরসভার ১১ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বর্তমান চেয়ারম্যান সৌমেন খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছিল অভিষেক ব্যানার্জীর দপ্তরে। দল অনেক চেষ্টা করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে পুনরায় সেই ১১ জন কাউন্সিলর পৌরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দিল পৌর বোর্ডের অসহযোগিতা ও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে।
আরও পড়ুন : অনুব্রত মণ্ডল দিল্লি গেলে এ রাজ্যের অনেকেরই অসুবিধা হবে!, মন্তব্য অগ্নিমিত্রার
আরও পড়ুন : রেকর্ড গড়ল পূর্ব মেদিনীপুর! ২ দিনেই বিক্রী ৯ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার মদ
পৌরসভার প্রধান দরজা আটকে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। শেষ পর্যন্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান নেমে এসে অবস্থানস্থলে প্রতিশ্রুতি দেন ব্যবস্থা নেওয়ার। প্রয়োজনে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালে অবস্থান ওঠে। তবে তৃণমূলের এই পরিস্থিতিকে গোষ্ঠী কোন্দলের কারণ বলে কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএমের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপাল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ সংগত কারণে। পৌরবোর্ডের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তবে সবার পেছনে ওদের গোষ্ঠী কোন্দল কাজ করছে।”
আরও পড়ুন : পর্যটকদের নিরাপদে সরিয়ে রাতভর বনকর্মীদের চেষ্টায় গোপগড় পার্ক থেকে সরল দাঁতাল
আরও পড়ুন : গোপগড় পার্ক থেকে তখনও ফেরত যাচ্ছেন পর্যটকরা, প্রধান গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ দাঁতাল হাতির, হুলস্থূল কান্ড
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore Municipality
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper