পত্রিকা প্রতিনিধি: শহরে ফের করোনায় আক্রান্ত একই পরিবারের ৪ জন। মেদিনীপুর শহরের তাঁতিগেড়িয়া সংলগ্ন কবরডাঙ্গা (হিন্দি স্কুল মাঠ) এলাকায় বাবা (৬২), মা (৫২) ও দুই ছেলে সহ (৩২ ও ২৯) একসঙ্গে ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন । জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট ২০২০) রাতের রিপোর্ট অনুযায়ী শহরে আবার করোণা আক্রান্তের হদিস মেলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে কবরডাঙ্গা এলাকায় । পরিবার সূত্রের খবর ৬২ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধ স্টেশন রোড সংলগ্ন গেট বাজার এলাকায় প্রায়ই বাজার করতে যেতেন ।এবং পরিবারের কর্তা হিসেবে সমস্ত কাজ তাঁকেই করতে হতো। এছাড়াও জানা যায় সপ্তাহে একদিন বাড়ির জন্য রেশন তুলতে দোকানে যেতেন । সম্প্রতি কিছুদিন ধরেই ওই বৃদ্ধের শরীরে করোনার উপসর্গ (গা-হাত-পা ব্যাথা) দেখা মেলায় স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথার ওষুধ দিয়েছিলেন । কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই বৃদ্ধের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ৪ আগস্ট । ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসায় পরিবারের বাকি ৩ সদস্যের লালারসের নমুনাও সংগ্রহ করা হয় গত ৪ আগস্ট। শুক্রবার রাতে একসঙ্গে পরিবারের ৪ জনের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বড় ছেলে শহরের এলআইসি মোড়ে একটি কাপড় দোকানের কর্মচারী । কাপড়ের দোকানে কাজ করার ফাঁকে তিনি তার বন্ধুদের সাথে বসে গল্পও করতেন। জানা যায় কলকাতা থেকে কাপড়ের স্টক আশায় সেই কাপড়ের দাম নির্ধারণ তাকেই করতে হতো । সেখান থেকে যে তিনি সংক্রমিত হননি তা একদম উড়িয়ে দেওয়ার বিষয় নয় । ছোট ছেলে খড়গপুর রেশমি মেটালিক্সে এক কন্টাকটারের অধীনে কাজ করতেন। ওখানে ভিন রাজ্যের লোকেরা কাজ করতে আসেন। মেটালিক্সে কাজ করার সময় দূরত্ব ও মুখে মাক্স পরে সব সময় কাজ করা সম্ভব নয় । তাছাড়াও সেখানে বাইরের লোকেদের সংস্পর্শে এসে করোনায় সংক্রমিত হওয়া আশ্চর্যজনক কিছুই নয় ।
মেদিনীপুর সদর মহকুমায় ফের ২ যুবকের শরীরে করোনার সংক্রমণের হদিশ মেলে। জানা যায় ওই দুই যুবক মহেশপুর এলাকার গুড়গুড়িপাল এর বাসিন্দা । সম্প্রতি তারা (২২ও ৩৭ বছর) পাঞ্জাব থেকে ফিরেছিলেন । নিয়ম মতোই যেহেতু তারা ভিন রাজ্য থেকে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন সেহেতু তাদেরকে স্থানীয় একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল । গত ৪ আগস্ট তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হলে বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। জানা যায় ওই দুই পরিযায়ী শ্রমিক অ্যাসিমটোমেটিক অর্থাৎ উপসর্গহীন ।