পত্রিকা প্রতিনিধি: করোনায় আবার মৃত্যু হল ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দার। এই নিয়ে ঘাটাল মহকুমা মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে ।মৃতের নাম হালিম শেখ তিনি গত ২৯ মে মুম্বাই থেকে মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুলগ্রাম এ ফিরেছিলেন বলে জানা গিয়েছে পরিবারের তরফে ।মুম্বাই থেকে ফিরে আসার পর নিয়মমতো ওই পরিযায়ী শ্রমিককে জলসা স্কুলের কোয়ারান্টিনে থাকার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা ।তার কিডনি গত সমস্যা থাকায় মাত্র ৭ দিন পরেই ওই ব্যক্তির শরীরের অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় ।হালিম শেখ কে বীরসিংহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হলেও পরে তাকে মেদিনীপুর করোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । গত ৮ জুন তিনি মারা যান ।রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নিয়ম অনুযায়ী মারা যাওয়ার পর ওই ব্যক্তির লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে ওই ব্যক্তির কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ (১০ জুন) আসে।ঘাটাল থানার ওসি দেবাশীষ ভৌমিক বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাইকিং প্রচার শুরু করেন তিনি এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে জানান করোনায় আতঙ্কিত হবার কিছু নেই কোন রকম শরীরে করোনার উপসর্গগুলি দেখা গেলে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এর পাশাপাশি মোহনপুর গ্রামের একাংশ বাঁশ দিয়ে ঘিরে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করার পাশাপাশি পুলিশ পিকেট বসানো হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বৃহস্পতিবার এর রিপোর্ট অনুযায়ী ঘাটাল মহকুমার ২১ জনের নতুন করে করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে ।এদের মধ্যে ঘাটাল ব্লকের ২ জন, দাসপুর ২ ব্লকের ৪ জন, দাসপুর ১ ব্লকের ১৫ জন ।এছাড়াও দাঁতন ২ ব্লক এ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক যুবক ।জানা গিয়েছে আক্রান্ত যুবক সম্প্রতি দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। তিনি দাঁতন ২ ব্লকের ৭ নম্বর হরিপুর অঞ্চলের বাসিন্দা ।বাড়ি ফেরার পর নিয়ম মত ওই যুবককে আইসিডিএস কেন্দ্রের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল ।ওই সময় শরীর থেকে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে আজ সকাল নাগাদ ওই ব্যক্তির কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে।পরিবার সূত্রে জানা যায় ওই যুবক গত ১ জুন ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরে আসেন । তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৫ জুন ।এই নিয়ে দাঁতন ২ ব্লকে মোট চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় এ প্রথম করোনায় সংক্রমণ মেলায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা । জানা যায় ওই ব্যক্তি ও ভিন রাজ্য ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক নারায়ণগড় ব্লকের বাখরাবাদ এলাকার বাসিন্দা ।ভিন রাজ্য থেকে ফিরে আসায় সরকারি নিয়ম বিধি মেনে ওই যুবককে ১৪ দিনের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল ।এরপর যুবকের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে দেউলী হাসপাতালে তার লালারসের নমুনা পাঠানো হয় । কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন কাটানোর পর ওই যুবক কুনারপুর এর দিদির বাড়িতে যান । সেখানেই প্রতিবার সকালে ওই ব্যক্তির কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে ।