Digha
আরও পড়ুন ঃ-কপ্টারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ! ২৯ মে দিঘায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ নির্ধারিত সময়ের আগেই ওড়িশার ধামরা ও বালেশ্বরের মাঝে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (Yass)। কিন্তু বাংলায় ‘যশ’ প্রবল তাণ্ডব না চালালে উত্তাল হয়ে উঠেছে দিঘা সমুদ্র। বইছে ঝড়ো হাওয়া। আর উত্তাল সমুদ্রের জল ইতিমধ্যে ঢুকে পড়েছে দিঘা সহ একাধিক পর্যটন কেন্দ্রের হোটেল ও গ্ৰামগুলিতেও। তবে ইতিমধ্যে দিঘা , মান্দারমনি , শঙ্করপুর ও তাজপুরে উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে এহেনঅবস্থায় মান্দারমনি থানার কালিন্দী দক্ষিণ পাড়া এলাকায় ৪ জন মানুষ ইতিমধ্যে জলে ডুবে গিয়েছে । যার মধ্যে ২ জন সাঁতারে পাড়ে উঠে এলেও ১জনের ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে অপর ১জন নিখোঁজ অবস্থায় রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
‘
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পূর্ণিমার ভরা কটালের জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ ১৩০ কিমি / ঘন্টা।তবে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়তে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাস থাকবে। হলদিয়া বন্দর এবং সাগরে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া এদিন সকাল থেকে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতিভারী
বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও, অনেক জায়গায় তা এখনও হয়নি। এছাড়াও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায়। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি প্রবল বৃষ্টিপাত হবে বুধবার সকাল থেকে। পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, কালিম্পং এবং দার্জিলিং জেলায়। ২৭ মে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং-এর কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গত বছর এই মে-ই দেখেছিল দক্ষিণবঙ্গের বুকে বিধ্বংসী আমফানের তাণ্ডব। দেখেছিল আয়লার ভয়াবহতা। গতবছরের বিশে মে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গকে ছাড়খার করে দিয়েছিল আমফান। ২০০৯-এর ২৫ মে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল আয়লা। সেই মে মাসেই আবার ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। এবার যশ। আর এই ‘যশ’ মোকাবিলায় ২৪ ঘণ্টা ধরে ডিউটি করছেন বিপর্যয় মোকাবিলা, পুরসভা, পঞ্চায়েত, পিডব্লুইডি, বিদ্যুৎ, সেচ, কৃষি দফতরের প্রায় ৭৪ হাজার কর্মী। মূলত প্রাণহানি রোখাই সরকারের টার্গেট। এর পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি যাতে কম নষ্ট হয়, নষ্ট হলেও যাতে দ্রুত মেরামত করা যায় তার নিরন্তর চেষ্টা চলছে। এছাড়া বিপর্যয় মোকাবিলায় তৈরি রাখা হয়েছে স্পিড বোট, গাছ কাটার যন্ত্র, অ্যাম্বুলেন্স। নবান্নের পাশাপাশি সব মিউনিসিপ্যালিটি, পঞ্চায়েত, জেলায় জেলায় ডিএম অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল ইতিমধ্যে ১৫লক্ষ লোককে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Digha
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore