পত্রিকা প্রতিনিধি : ভূমিহীন হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দেওয়া হয়েছিল পাট্টা জমির কাগজ,আর আর সেই পাট্টা জমি পেয়েও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় সেই পাট্টা জমি দখল নিতে পারলোনা হতদরিদ্র পরিবার।কয়েক বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা থেকে দেওয়া হয়েছিল সেই পাট্টার কাগজ, কিন্তু কাগজ পেয়েও এখনও মেলেনি জায়গা। ঘটনাটি চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীনগর এলাকার।
জানাযায় শ্রীনগর গ্রামের বাসিন্দা অরূপ পাখিরা পেশায় কাঠের মিস্ত্রি দরিদ্র হওয়ার কারণে তার স্ত্রী অসীমা পাখিরা নামে সরকারি উদ্যোগে গ্রামেরই এক সরকারি জায়গায় দেওয়া হয় দুই শতক পাট্টা জমি,২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডেবরায় এক প্রশাসনিক সভা থেকে। দুই বছর হয়ে গেলেও এখনও সেই পাট্টায় উল্লিখিত জায়গা পাননি ওই ব্যক্তি। জায়গা না পেয়ে বারবার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি তখন তৃণমূল নেতৃত্ব তাকে জানান দিতে হবে টাকা তারপরেই মিলবে তার জায়গা।জায়গা না পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেও ছুটেছেন অরূপবাবু কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি, স্থানীয় নেতৃত্ব বলেছেন অন্যত্রে তাকে দেওয়া হবে জায়গা কিন্তু তারও নির্দিষ্ট কোনো কাগজপত্র নেই। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সঠিক পাট্টা জায়গা কেন দখল পাবেন না তিনি!
কেনো অন্যত্রে নেবেন জায়গা, এই দাবিতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার পাইনি অরূপ ও তার পরিবার।
অরূপ জানায় পাট্টা পাওয়ার পর ডেকে পাঠান স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মী, তাঁরা ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন সেই টাকা না দেওয়াতে কি তাকে সঠিক জায়গা দেওয়া হচ্ছে না, এতেই দুশ্চিন্তায় দিন গুণছে হতদরিদ্র পরিবার তাদের এখন একটাই দাবী, যেকোনো ভাবে দেওয়া হোক তাদের ঐটুকু সরকারি জমি। আর এই ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ ছড়িয়েছে বিজেপি এবিষয়ে এলাকার বিজেপি নেতা হৃদয় হাজরা বলেন,তৃণমূল শুধু গরীব মানুষের কাছ থেকে টাকা নিতে পারে যে কোন কিছুর বিনিময় আমরা ওই ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে সমস্ত বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি আমরা চাই যে কোনভাবে ওই ব্যক্তিকে জায়গা তাকে বুজিয়ে দিতে। অপরদিকে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সূর্যকান্ত দোলোই বলেন” বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না, আমরা ওই ব্যক্তির জায়গা দ্রুত তাকে দেবার ব্যাবস্থা করছি।চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অভিষেক মিশ্র বলেন ” সরকারি জায়গা ওই ব্যক্তিকে কেন দেওয়া হলো না গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভূমি দপ্তরে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইবো।