পত্রিকা প্রতিনিধি :এক যুবকের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষনের অভিযোগ করা হয়েছিল ৷ পকসো আইনে গ্রেফতার করে জেলে যায় যুবক ৷ জেল খেয়ে জামিন পেয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে যুবককে অপহরন করার অভিযোগ সেই ধর্ষনের অভিযোগকারী নাবালিকা ও তার বাবার বিরুদ্ধে ৷ তবে শেষমেষ পুলিশের তৎপরতায় যুবতীর সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে। যুবককে অপহরণের অভিযোগে পুলিশ যুবতী সহ তার বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে খড়গপুর গ্ৰামীণ থানার চৌরঙ্গী মোড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হলো খড়গপুর গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা রিয়া গুপ্তা ও তাঁর বাবা শিবকুমার গুপ্তা। তাদের বাড়ি খড়গপুর টাউন থানার নিমপুরা এলাকায়। পুলিশ ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করার সঙ্গে অপহরণের সময় ব্যবহার করা গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃত দুজনকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, এই অভিযুক্ত যুবতী রিয়া ১৫ মে খড়গপুর গ্ৰামীণ থানায় আকাশ চাপরি নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল- গত তিন বছর ধরে খড়গপুর গ্ৰামীণ এলাকার বাসিন্দা প্রতিবেশী এই যুবক লাগাতার ধর্ষণ করেছে। এই অভিযোগে পুলিশ ১৫ মে যুবককে গ্রেফতার করে। আদালতের রায়ে যুবক জেল হাজতে ছিলেন। মঙ্গলবার তিনি জামিনে মুক্তি পান। জামিন পাওয়ার পর বাবার সাথে বাড়ি ফেরার পথে খড়গপুর গ্ৰামীণ থানার চৌরঙ্গী মোড়ে তাদের গাড়ি আটকায় কয়েকজন ৷ অভিযোগ-সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে রিয়াদেবী ও তাঁর বাবা দলবল নিয়ে যুবককে জোর করে যুবকের বাবার কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। অন্য একটি গাড়িতে চাপিয়ে দেয়। তারপর সোজা ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতার দিকে গাড়িটি চালানো শুরু করে। এদিকে ঘটনার পরই যুবকের বাবা থানায় পুলিশকে ফোন করে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত যুবতীর বাবাকে নিমপুরা এলাকার বাড়ি থেকে আটক করে। তাঁকে জেরা করে তারপরে যুবতীকে চৌরঙ্গী মোড় থেকে আটক করা হয়। যুবতীর কাছ থেকে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়। জেরা শুরু হয় যুবতীকে। দীর্ঘ জেরার পর পুলিশ
যুবতীর বাবা ও যুবতীকে গ্রেফতার করেছে ৷ সেই সঙ্গে এই অপহরণ কাণ্ডে যারা সঙ্গ দিয়েছিল তাদের খোঁজ শুরু করেছে