Biswakarma Puja
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: করোনার জেরে বিগত বছর চরম সমস্যায় পড়লেও এবারে বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরির অর্ডার এসেছিল ভালো রকমই। আশার আলো দেখছিলেন শিল্পী। মনের আনন্দে মেতে ছিলেন প্রতিমা তৈরিতে। কিন্তু সেখানেও যেন বিধিবাম। পুজোর ঠিক দু’দিন আগেই সমস্ত আশা ভাসিয়ে নিয়ে গেল কেলেঘাইয়ের জলের স্রোত। নিম্নচাপের জেরে টানা কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি, আর সেই অতিবৃষ্টিতেই নদী উপচে পড়া জলে প্লাবিত হলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ির একাধিক এলাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কেলেঘাই সংলগ্ন খাজরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াগ্রাম। এই এলাকারই বাসিন্দা পেশায় মৃৎশিল্পী স্বপন দাস এখন চরম সংকটে।
আরও পড়ুন:- অনাস্থা ভোটে মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ সরানো হল শুভেন্দু অধিকারীকে
আরও পড়ুন:- খুলছে মেদিনীপুর সংলগ্ন গোপগড় ইকোপার্ক, পর্যটকদের মানতে হবে একাধিক বিধি নিষেধ
বন্যার জেরে ডুবে গিয়েছে বাড়ি। প্রয়োজনীয় কয়েকটি জিনিসপত্র নিয়ে কোনো ভাবে আশ্রয় নিয়েছিলেন স্থানীয় খাজরা হাইস্কুলে। জল কমতে একদিন পরে বাড়ি ফিরে দেখেন নিজের হাতে তৈরি বিশ্বকর্মার অধিকাংশ প্রতিমাই ভাসিয়ে নিয়ে গেছে জলের স্রোত। অর্ডার অনুযায়ী ৪০ টি বিশ্বকর্মা প্রতিমা বানিয়েছিলেন তিনি। যার মধ্যে প্রায় সবকটি ভেসে গিয়েছে বন্যায়। ১১ টি কোনমতে রয়েছে। তবে তাতেও প্রলেপ দেওয়া মাটি ধুয়ে গিয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েন হতদরিদ্র মৃৎশিল্পী। হাতে মাত্র আর কয়েক ঘন্টা সময়। কিভাবে ফের মূর্তি তৈরি করবেন সেটা ভেবে পাচ্ছেন না স্বপন বাবু। এদিকে যারা মূর্তি তৈরির জন্য অগ্রিম বায়না দিয়ে গিয়েছিল, তাদের কেউ কেউ বারবার খোঁজ নিতে আসছেন।
Biswakarma Puja
আরও পড়ুন:- বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪০০ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ
জলভরা চোখে মৃৎশিল্পী বলেন, ভেবেছিলাম এ বছর যে পরিমাণ অর্ডার এসেছিল তাতে হয়তো কিছুটা আর্থিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। কিন্তু নদীর জল যে সবকিছু কেড়ে নেবে তা ভাবতেও পারিনি। হাতে আর কয়েক ঘন্টা সময় কিভাবে পুজোর আগে মূর্তি তৈরি করতে পারবো তা ভেবেই পাচ্ছি না। সবাইকে প্রতিমা দিতে পারবো না। অনেককে সহযোগিতার কথা বললেও কেউ সাড়া দেয়নি। সরকারি সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সরকারি সহযোগিতা পেলে কিছুটা সুরাহা মিলবে বলে দাবি মৃৎশিল্পীর।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর ও খড়্গপুর পৌরসভায় চালু হল ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরের মনিদহতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন পঞ্চায়েত সদস্য, উপপ্রধান গড়ার পথে তৃণমূল
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Biswakarma Puja
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Biswakarma Puja
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Although there was an extreme problem last year due to Corona, this time the order to make Bishwakarma idol came in a good way. The artist was seeing the light of hope. Mete was happy to make the idol. But even there it is like a rule. Just two days before Pujo, all hopes were dashed by the current of Keleghai. Due to the low pressure, there were several days of heavy rains, and in those heavy rains, the river overflowed and flooded several areas of Keshiari in West Midnapore district. The worst affected are Nayagram of Khajra gram panchayat adjacent to Keleghai. Swapan Das, a potter by profession, is now in dire straits.
The house has been submerged due to the flood. He somehow took shelter in the local Khajra High School with some necessary things. One day after the water receded, he returned home and saw that most of the idols of Bishwakarma made by him had been washed away by the current of water. He made 40 Bishwakarma idols according to the order. Almost all of which have been washed away by the floods. There are 11 types. However, the coated soil has been washed away. The impoverished potter broke down in tears. Just a few more hours on hand. Swapan Babu is not thinking how to make the idol again. Meanwhile, some of those who went in advance to make the idol are coming to look for it again and again.
The watery-eyed potter said, “I thought I might be able to turn around a little financially with the amount of orders that came in this year.” But I could not imagine that the water of the river would take away everything. I can’t think how I can make an idol before Pujo in a few hours. I can’t give idols to everyone. Many spoke of cooperation but no one responded. He appealed for government cooperation. The potter claims that some solution will be found with the help of the government.