বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: অবৈধভাবে জলাশয় দখল করে মাছ চাষের চেষ্টার অভিযোগে উত্তেজনা মেদিনীপুর সদরে। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘ বহু বছর ধরে তারা ওই জলাশয় ব্যবহার করে আসছেন। সম্প্রতি কয়েকজন সেই জলাশয় বাদ দিয়ে মাছ চাষের পরিকল্পনা করছেন। বিষয়টি নিয়ে মেদিনীপুর সদর বিডিও-র কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি মনিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের রেড়াপালে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ওই জলাশয় গ্রামবাসীরা ব্যবহার করে আসছিলেন। এর আগে ১০০ দিনের কাজে সরকারিভাবে সংস্কারও হয়েছে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পারাপার! মেদিনীপুর শহরের তাঁতিগেড়িয়া রেল ক্রসিংয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা
সম্প্রতি কয়েকজন ব্যক্তি ওই জলাশয়টিকে বাঁধ দিয়ে মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন। এর ফলে গবাদি পশু থেকে শুরু করে মানুষজন ব্যবহার করতে পারবেন না বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁধ কেটে দেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। মাছ ছাড়ার প্রতিবাদে মেদিনীপুর সদর বিডিও দপ্তরে অভিযোগও জানিয়েছিলেন বাসিন্দারা। ওই জলাশয়ের পাশেই রয়েছে শ্মশান। সামাজিক কাজকর্মে ওই জলাশয় ব্যবহার করতে পারবেন না তারা।

আরও পড়ুন : ১৫ কিমি সাইকেল চালিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মভিটেতে চারা রোপন মহকুমাশাসকের
যার ফলে খুবই সমস্যায় পড়তে হবে বলে জানান তারা। গ্রামবাসীদের দাবি, এটি আগে কংসাবতী নদী ছিল। নদীর দূরত্ব হতে জলের সুবিধার্থে সংস্কার করে জলাশয় তৈরি করে গ্রামবাসীরা ব্যবহার করতেন। স্থানীয় বাসিন্দা মণি সিং, রুবেন সিং-রা বলেন, বহু বছর ধরে আমরা জলাশয়টি বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করে আসছি।

আরও পড়ুন : ডেবরার গ্রামে রাস্তার বেহাল দশা! বাঁশের মাচায় চাপিয়ে হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু
আমরা এটি-কে সরকারি সম্পত্তি বলেই জানতাম। গ্রামের কয়েকজন তাদের জায়গা বলে দাবি করে বাঁধ দিয়ে মাছ ছাড়ার চেষ্টা করছেন। জলে বিষাক্ত কিছু মেশানো হয়েছে। মাছ মরে যাচ্ছে। গবাদি পশুও জল খেতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মানুষজন স্নান করতে পারছে না। বিডিও দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছি। যাতে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে মাছ চাষ বন্ধ করা হয়। আমরা যাতে আগের মতো ওই জলাশয় ব্যবহার করতে পারি, তার জন্য প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছি।” যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও জানিয়েছেন, ওই জায়গার কাগজ রয়েছে তাদের। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও সংস্কারের অনুমতি দিয়েছেন।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Pond dispute
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspape