বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড় বাজারে একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে।সেই দোকানে রবিবার বিকেল ৩ টে নাগাদ যান সপ্তম শ্রেণীর এক পড়ুয়া। পরিবার সূত্রে খবর,তার ছেলে দোকানের বাইরে কয়েকটি চিপ্সের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে।প্যাকেট দেখে রীতিমতো দোকানদারকে ডাক দেয়।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

কিন্তু দোকানদারের কেনো উত্তর না পাওয়ায় পড়ুয়া ছেলেটি চিপ্সের প্যাকেট নিয়ে চলে যায় এরপর দোকানদার ওই পড়ুয়াটিকে দেখতে পেয়ে তার পিছু ধাওয়া করে ছেলেটিকে বকাবকি করে ও বাজারে এসে কান ধরে উঠবস করায় বলে অভিযোগ।এরপর পড়ুয়ার মা ছেলেটিকে পূনরায় দোকানে নিয়ে গিয়ে বকাবকি করে ও বাড়িতে ফিরে আসে। পড়ুয়া ছেলেটি বাড়িতে ফিরে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে এবং সুইসাইড নোট লিখে যায়। সুইসাইড নোটে লিখে যায় -” মা আমি বলে যাচ্ছি যে আমি কুড়কুড়াটি (Kurkure) রাস্তার ধারে কুঁড়িয়ে পেয়েছিলাম।চুরি করিনি।”
আরও পড়ুন : ৬টি বেআইনি কাঠ মিল বন্ধ করল বেলদা বনদফতর

এরপর ওই পড়ুয়াকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তার অবস্থান অবনতি হলে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।আজ সকালে পড়ুয়ার মৃত্যু ঘটে।
পড়ুয়ার পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে দোকানদারের কাছ থেকে অপমানিত হয়েই তাদের ছেলে মানষিক চাপে কীটনাশক খেয়ে মারা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : খড়গপুরের বিস্কুট কারখানায় তালা! কাজ হারালেন প্রায় ৫০০ শ্রমিক

যদিও মিষ্টি দোকানের মালিক শুভঙ্কর দিক্ষিতের স্ত্রী নিশা দিক্ষিত বলেন -“আমাদের দোকানের সামনে থাকা চিপস্ নিয়ে যাচ্ছিলো ওই পড়ুয়া।তখন আমার স্বামী বাইক নিয়ে গিয়ে ওকে বলেছিলো কী নিয়ে এসেছিস।ও বলেছিলো কুড়মুড়ে।ভয়ে ছেলেটা কান ধরে ও আমার স্বামীকে ২০ টাকাও দেয় এবং শুধুমাত্র বুঝিয়ে বলেছিলো এইরকম করতে নেই।

পরে ওর মা এসে দোকানের সামনে ছেলেকে মারধর করেছিলো। আমার স্বামী কোনো ভাবেই এর সাথে যুক্ত নয়।ওই ছেলেটার মৃত্যু সত্যি আমরা মেনে নিতে পারছি না ।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Student suicide
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper