বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: বাংলার পৌষ মাসের মকর সংক্রান্তিতে, মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হয় পটাশপুর ও সবং-এর ঐতিহ্যবাহী তুলসী চারার মেলা। পটাশপুরের ও সবং-এর মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে কেলেঘাই নদী। ঝাড়গ্রাম থানার দক্ষিণ-পূর্বে (সাঁকরাইল থানার সীমান্তবর্তী) দুধকুন্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতে অবস্থিত বদিনা গ্রাম। এই গ্রামের ভূগর্ভ থেকে উৎসারিত মিষ্টি জলের এক অবিরাম প্রস্রবণই কেলেঘাই নদীর উৎস। সেই বদিনা গ্রাম থেকে আসা কেলেঘায়ের আদরে মাখা পটাশপুর থানার গোকুলপুর গ্রামে নদীবক্ষে (কেলেঘাই) অবস্থিত বাকসিদ্ধ পুরুষ বৈষ্ণবসাধক গোকুলানন্দ বাবাজীর তুলসী মঞ্চ। আর এই গোকুলানন্দ বাবাজীর তুলসী মঞ্চকে কেন্দ্র করেই হয় এই মেলা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
আরও পড়ুন : Makar Snan and Mela : শিলাবতী নদীতে গঙ্গা পুজো! মকর সংক্রান্তিতে উপচে পড়া ভিড় পুণ্যার্থীদের
2/5. প্রায় 500 বছর পুরোনো এই মেলায় বহর বেড়েছে অনেকটাই । মনস্কামনা পূরণের পাশাপাশি তুলো আর বাদ্যযন্ত্রের পসরা সাজিয়ে হাজির সবংয়ের এই মেলা । মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে শুরু সবং-পটাশপুরে অনুষ্ঠিত সাত দিনের হয় তুলসী চারার মেলা । 500 বছরেরও বেশি পুরোনো এই মেলা । শুধু তাই নয়, তুলসী চারার মেলা অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও প্রাচীন মেলা ।
3/5. পটাশপুরের গোকুলপুর গ্রামে নদীবক্ষে রয়েছে তুলসী মন্দির । প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তিতে তুলসী চারার মেলা শুরু হয় । এই তুলসী মন্দিরকে কেন্দ্র করেই এই মেলার নামকরণ-তুলসী চারার মেলা ।পটাশপুরের গোকুলপুর গ্রামে বাকসিদ্ধ বৈষ্ণব শ্রী শ্রী গোকুলানন্দ গোস্বামী বৈষ্ণবচার্যরূপের সমাধি মন্দির রয়েছে l বয়স্কদের কথায়, গোকুলানন্দ সবং-এর কোলন্দা গ্রামের নামকরা জমিদার পরমানন্দ ভুঁইঞার ভান্ডারি ছিলেন । বেশিরভাগ সময়ই সাধন ভজনে ব্যস্ত থাকতেন । পরমানন্দের ছেলে বিপ্রপ্রসাদ গোকুলানন্দের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন : Medinipur Hospital : মেদিনীপুর হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুতে ফের উত্তেজনা, তদন্তে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম
আরও পড়ুন : Ambulance Accident : দাসপুরে অ্যাম্বুলেন্স লরির মুখোমুখি ধাক্কা! গুরুতর আহত একাধিক
4/5. কথিত আছে, গোকুলানন্দ গোস্বামী পৌষ সংক্রান্তিতে রাত 12 টা নাগাদ নদীর মাঝখানে, তাঁর যোগমঞ্চে সাধনা করতে করতে সমাধিপ্রাপ্ত হন । দেহরক্ষার আগে গোকুলানন্দ গোস্বামী তাঁর শিষ্য বিপ্রপ্রসাদকে ডেকে বলে যান পৌষ সংক্রান্তিতে তুলসীমঞ্চে তিনমুঠো মাটি দিলে সবার মনস্কামনা পূরণ হবে ।এরপর থেকেই পৌষ সংক্রান্তির ভোরে পুণ্যস্নান করে গোকুলানন্দ গোস্বামীর তুলসী মঞ্চে কেলেঘাই নদী থেকে তিন মুঠো মাটি তুলে দান করেন । দুই মেদিনীপুরের হাজার হাজার মানুষ তুলসী মঞ্চে মাটি দিয়ে পূজা নিবেদন করেন ।
5/5. সম্প্রতি , কেলেঘাই নদীর বাঁধের সংস্কার হয়েছে । এর ফলে মেলার আয়তনও বেড়েছে । বর্তমানে প্রায় 13-14 একর জায়গা জুড়ে মেলা বসে । অতীতে 1 দিনের জন্য মেলা বসত । বর্তমানে মেলা চলে 7 দিন ।তুলসী চারার মেলার আর একটি বিশেষত্ব হল তুলো । দীর্ঘদিন ধরেই থেকেই এই মেলায় পসরা সাজিয়ে আসছেন তুলো ব্যবসায়ীরা । নানা ধরনের তুলো কেনাবেচা হয় এই মেলাতে । এছাড়াও এই মেলায় পাওয়া যায় ভাবসংগীত ও লোকসংগীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র । সময়ের সাথে আকারে ও বহরে বেড়েছে তুলসীচারার মেলা । একে একে মেলায় যোগ হয়েছে মাটির সামগ্রী থেক সবজি , মাছ ও সবং-পটাশপুরের পরিচিত মাদুর এবং বাগমারির শঙ্খ , বিভিন্ন মিষ্টির পসরা ।
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর দপ্তরের হানা
আরও পড়ুন : ফুটপাত দখলমুক্ত করতে নামলো পুলিশ ও পৌরসভা
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Sabang-Patashpur traditional festival
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper