বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: স্যালাইন কাণ্ডে প্রসূতির মৃত্যুতে ফের উত্তেজনা ছড়ালো মেদিনীপুর হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনার তদন্তে এলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ১৩ জনের একটি টিম। তবে এখনো হাসপাতালে ভর্তি থাকা দুই রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম পৌঁছাতেই গেটে তুমুল বিক্ষোভ রাজনৈতিক দলগুলির। পুলিশের সঙ্গে খন্ড যুদ্ধ বেঁধে যায় তাদের।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
2. উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে ৫ প্রসূতি সিজারের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। যার মধ্যে শুক্রবার ভোরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তোলপাড় পড়ে যায় সারা রাজ্যে। কাঠগড়ায় তুলেছে কালো তালিকাভুক্ত স্যালাইন কোম্পানি ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’কে। গত বছর ডিসেম্বরে ওই কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল রাজ্য সরকার। তারপরেও কিভাবে হাসপাতালে ওই স্যালাইন ব্যবহার হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনায় স্বাস্থ্য দপ্তরের একাংশ আধিকারিকের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ শনিবার।
আরও পড়ুন : Stingray Fish : ২০০ কেজি ওজনের দৈত্যাকার শঙ্কর মাছ হলদিয়ায়, বিক্রি হল রেকর্ড দামে
আরও পড়ুন : Ambulance Accident : দাসপুরে অ্যাম্বুলেন্স লরির মুখোমুখি ধাক্কা! গুরুতর আহত একাধিক
3. হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন ওই স্যালাইনের জন্যই এমনই ঘটনা ঘটেছে। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে ৫ প্রসূতির সিজার হয়। ওই পাঁচজনকেই একই পেটির স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছে। তারপরই তাদের নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি পাঁচজনেরই একই উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাদের প্রস্রাবও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতির অবনতি দেখে তড়িঘড়ি আইসিইউতে পাঠানো হয়।
4. বৃহস্পতিবার সকালে আরো দুই প্রসূতির সিজার করা হয়। চিকিৎসকরা আর ঝুঁকি নিয়ে ওই স্যালাইন ব্যবহার করেননি। জানা গিয়েছে, বাইরে থেকে স্যালাইন এনে ওই দুই প্রসূতির সিজার করা হয়েছে। তারা দুজনই স্বাভাবিক রয়েছেন। যার ফলেই চিকিৎসকদের একাংশের অনুমান ওই স্যালাইন থেকেই এমন সমস্যা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার ভোরে, গড়বেতার বাসিন্দা মামণি রুইদাসের মৃত্যুর খবর চাউর হতেই বিক্ষোভ শুরু হয় হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি আন্দাজ করতে পেরে মোতায়ন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। টনক নড়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরেরও।
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর দপ্তরের হানা
আরও পড়ুন : ফুটপাত দখলমুক্ত করতে নামলো পুলিশ ও পৌরসভা
5. শনিবার স্বাস্থ্য দপ্তরের ১৩ জনের একটি টিম এসে পৌঁছায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। বৈঠকে বসেন সিনিয়র চিকিৎসক এবং আধিকারিকদের সঙ্গে। হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, “এখনো দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কোনরকম পরিবর্তন হয়নি।” ওই ঘটনার পরই হাসপাতাল গেটে শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই, ডিওয়াইএফআই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ রাজ্য স্বাস্থ্যকর্তা যারা যুক্ত এই কালো তালিকা ভুক্ত স্যালাইন ব্যবহারে, তাদের শাস্তির দাবি তুলেছে। তবে বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও বেঁধে যায় কর্মী সমর্থকদের। পাশাপাশি শহরে এসইউসিআই দলের পক্ষ থেকে মিছিল ও বিক্ষোভ জেলাশাসক দপ্তরে।
6. মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছে মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার। এসইউসিআই-এর জেলা সম্পাদক নারায়ণ অধিকারী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস এর স্যালাইন ও ওষুধ কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। অথচ একমাস পেরিয়ে গেলেও ওই নিম্নমানের স্যালাইন এতদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালগুলিতে চললো কি করে? স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চূড়ান্ত দুর্নীতি যে রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাসা বেঁধেছে তা অভয়া কাণ্ডের পরপরই সকল মানুষের কাছে আজ জলের মতো পরিষ্কার। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সরকারী স্বাস্থ্যদপ্তর সহ প্রশাসনিক মহল। এই ঘটনায় যুক্ত মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ সহ উচ্চপদস্থ স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।”
আরও পড়ুন : Road Accident : দাঁতন এলাকায় জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পর পর তিনটি গাড়ি,জখম চালক
আরও পড়ুন : Sexual Assault : ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানি! অভিযুক্তের ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
State Health Department probes fatal incident at Medinipur hospital
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper