বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : স্যালাইন কিংবা ওষুধ ব্যবহার করা হয় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য। যদি সেই স্যালাইনের গুণমান না দেখে কেবল মাত্র মুনাফার জন্য ব্যবহার করা হয় তা মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে। সম্প্রতি ব্যাঙ্গালোরে পরীক্ষায় ফেল করে স্যালাইন ‘রিঙ্গার ল্যাক্টেট’। অথচ পশ্চিমবঙ্গে ঐ কোম্পানির স্যালাইনগুলি রমরমিয়ে চলছে। যার ফলে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হল এক প্রসূতির। মৃত প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ বা নিম্নমানের স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
2. উল্লেখ্য, মেদিনীপুর হাসপাতালে সিজার হওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে পাঁচজন প্রসূতি। তারপরই পরিবারের লোকজন বিক্ষোভ দেখাতে থাকে হাসপাতাল চত্বরে। তাদের অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল প্রসূতিদের। শুক্রবার ভোরে এক প্রসূতির মৃত্যু হওয়ার পর উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে তড়িঘড়ি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে হাসপাতালের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন : Freedom fighter : মেদিনীপুরে প্রথম মাস্টারদা সূর্য সেনের আবক্ষ মূর্তি
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
3. বুধবার রাতে সিজার হওয়া ৫ জন প্রসূতি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউতে। তাঁদের মধ্যেই এক প্রসূতির মৃত্যু হয় শুক্রবার ভোরে। মৃত প্রসূতির নাম মামণি রুইদাস। বাড়ি গড়বেতা থানা এলাকায়। বাকিদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : Paschim Medinipur : শীতবস্ত্রহীন শিশুদের কাঁপতে দেখে সাত সকালে দোকানে ছুটলেন মহকুমা শাসক
আরও পড়ুন : Sexual Assault : ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানি! অভিযুক্তের ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড
4. প্রসূতি মৃত্যুর পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ায় মৃত্যু হয়েছে। সরব হয়েছে সার্ভিস ডক্টর ফোরাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সজল বিশ্বাস বলেন, “স্যালাইন কিংবা ওষুধ বা অ্যানাস্থেটিক ওষুধ ব্যবহারের পরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়ে রোগীর মৃত্যু এই প্রথম নয়। আমাদের রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেই এই ধরনের ঘটনা এর আগে বহু ঘটেছে। যেকোনো ওষুধ প্রয়োগের আগে তার গুণমান পরীক্ষা করা প্রয়োজন। আমাদের রাজ্য তথা দেশে ঐ পরীক্ষা করার ল্যাবরেটরীর সংখ্যা অত্যন্ত অপ্রতুল। ফলে ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করিয়ে তার ফলাফল আসার আগেই ঐসব ওষুধ ব্যবহৃত হয়ে যায়। তার প্রতিক্রিয়ায় মানুষও মারা যায়। অন্যদিকে অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ী, প্রশাসন ও সরকারের অসাধু চক্র কাজ করায় বহু ক্ষেত্রে গুণমান পরীক্ষায় ফেল ওষুধও বাজারে চলতে থাকে। মেদিনীপুর হাসপাতালে ব্যবহৃত স্যালাইন ‘রিঙ্গার ল্যাক্টেট’ সম্প্রতি ব্যাঙ্গালোরে পরীক্ষায় ফেল করা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের ঐ কোম্পানির স্যালাইনগুলি রমরমিয়ে চলছে। যার বলি হতে হচ্ছে এই রাজ্যেরই প্রসূতি সহ অসংখ্য রোগীকে।”
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর দপ্তরের হানা
আরও পড়ুন : ফুটপাত দখলমুক্ত করতে নামলো পুলিশ ও পৌরসভা
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Bengaluru rejected saline leads to death in Medinipur Hospital
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper