ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : রবিবার খড়্গপুর শহরে পশ্চিম মেদিনীপুরের দুই লোকসভার বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সমাবেশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরেই পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট সূত্রে একটি খবর ছিল যে বিজেপি নেতাদের কাছে নগদ মোটা টাকা কোথাও যাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অতর্কিত হানা দেওয়া হয় খড়্গপুর শহর সংলগ্ন জাতীয় সড়কের পাশে একটি হোটেলে। যেখান থেকে ৩২ লক্ষ টাকার বেশি নগদ টাকা উদ্ধার হয়। এরপরই জেরা করা হয় বিজেপি নেতা সমিত মন্ডল ও বিজেপির জেলা সভাপতি সুদাম পন্ডিতকে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৩২ লক্ষের বেশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খড়গপুর শহরের নিমপুর এলাকার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সভা করে বেরিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের কাছে খবর আসে বিজেপির নেতাদের কাছে মোটা টাকা জড়ো হয়েছে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে। নির্দিষ্ট সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রবিবার রাত আটটার পর খড়গপুর শহর সংলগ্ন জাতীয় সড়কের পাশে একটি হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরাও। ওই সময় ওই হোটেলে বেশ কিছু বিজেপি নেতাকর্মী ছিলেন।
Paschim Medinipur
আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে এবারেও সেরা দশে পূর্বের ৭ পড়ুয়া, পড়ুন বিস্তারিত
আরও পড়ুন : “আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের চাবিকাঠি”! ঝাড়গ্রামে মাধ্যমিকে প্রথম অন্বেষার লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ারিং
অতর্কিত হানা দিয়ে হোটেলের একটি রুম থেকে ৩২ লক্ষের বেশি পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সমস্ত ভিডিওগ্রাফি হয়। জেরা শুরু হয় সেখানে থাকা বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল ঘনিষ্ঠ সমিত মন্ডলকে। পরে জেরা হয় বিজেপির জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিতকে। সুদাম পন্ডিত বলেন, “এই টাকা রাজ্য পার্টি থেকে পাঠানো হয়েছিল। পাশাপাশি জেলার নেতৃত্বদের দলের খরচের জন্য। আগামীকাল তারা আসবেন বলেছিলেন। সেই টাকাই এখানে রাখা ছিল। নির্বাচনী কাজ পরিচালনার জন্য এই খরচ। যার সমস্ত হিসেব রয়েছে আমাদের কাছে।
পুলিশ কেন এসেছিল জানিনা। আমরা কাগজপত্র দেখাবো।” তবে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে একসঙ্গে নগদ ৫০ হাজারের বেশি টাকা রাখা যায় না। কিন্তু এত টাকা কিভাবে একত্রে ছিল, কেন ছিল তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “বিজেপি বুঝতে পেরে গিয়েছে তারা হেরে যাবে। অগ্নিমিত্রা পাল সেই পরিস্থিতি বুঝতে পেরেই অন্য পন্থা অবলম্বন করছে। তাই পুলিশ নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়েছিল হয়তো। টাকা উদ্ধার করেছে। নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে আশা রাখছি।”
আরও পড়ুন : জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম মেদিনীপুর মিশন গার্লসের তনুকা
আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে জেলায় প্রথম মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের কৌস্তভ , প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Paschim Medinipur
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper